জল নামতেই শুরু হল বাঁধ নির্মাণের কাজ

সব এলাকায় আপদকালীন মেরামতি শুরু হয়েছে। বাঁধে জিও সিন্থেটিক চট দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ক্ষয় রোধ করা গিয়েছে।

Must read

সুস্মিতা মণ্ডল, কাকদ্বীপ, পূর্ণিমার কোটালের প্রভাব কাটতে শুরু করেছে বুধবার থেকে। এদিন সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রে জলস্তর স্বাভাবিক ছিল। তবে গত রবিবার থেকে টানা তিন দিন কোটালের জেরে তছনছ হয়ে গিয়েছে সাগর ব্লকের একাধিক নদী ও সমুদ্র বাঁধ। জলস্তর নামা শুরু হতেই সেই বাঁধগুলির মেরামতির কাজ শুরু করে দিল প্রশাসন। কিছু ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বাঁধ মেরামতির কাজ করা হচ্ছে। কিছু কাজ করছে সেচ দপ্তর। মূলত বাঁধগুলিতে মাটি দিয়ে মেরামতির কাজ করছে পঞ্চায়েত।

আরও পড়ুন-হিংসা নিয়ে খেলবেন না কড়া বার্তা দিলেন নেত্রী

ইটের বোল্ডার বা কংক্রিটের কাজ করছে সেচ দপ্তর। এবারের কোটালে সাগর, নামখানা, কুলতলি ও গোসাবা ব্লক মিলিয়ে প্রায় হাজার মিটারের বেশী বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সেই বাঁধগুলি চিহ্নিত করে জরুরী ভিত্তিতে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। সাগর ব্লকে ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশী। গঙ্গাসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিষামারিতে বঙ্গোপসাগর ও হুগলী নদীর মোহনায় প্রায় ২০০ ফুট বাঁধে ধস নেমেছে। কোটালের জলে পুরোপুরি ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। বাঁধের কাছাকাছি থাকা দশটি বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। এই বাঁধের মেরামতির কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। কিছুদিন আগে কাজ শুরুও হয়েছিল। কিন্তু প্রকৃতির রোষে সব ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায়। এছাড়া ধবলাট, চকফুলডুবি, মন্দিরতলা, কচুবেড়িয়া পয়েন্ট থেকে ডল ঢুকছিল।

আরও পড়ুন-রাজ্যের দাবিতে উঠল ঊর্ধ্বসীমা পাটের দাম

সব এলাকায় আপদকালীন মেরামতি শুরু হয়েছে। বাঁধে জিও সিন্থেটিক চট দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে ক্ষয় রোধ করা গিয়েছে। মাটির কাজও চলছে জোর কদমে। এছাড়া নামখানার মৌসুনি দ্বীপের বালিয়াড়া, বুধাখালির সাউপাড়া, রাজনগরেও বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। এবছর বর্ষা আগাম আসছে বলে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। সেক্ষেত্রে সামনের কোটালগুলিতে জলস্তর বাড়বে কয়েক গুন। তাই আগেভাগে প্রশাসন বাঁধ মেরামতি সম্পূর্ণ করতে চাইছে। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, কোটালের জেরে জলস্তর বাড়ায় এই বিপত্তি। খুব দ্রুততার সঙ্গে বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে। আগামী কোটালের আগে মেরামতি শেষ করা হবে।

Latest article