প্রতিবেদন : সুচরিতাও আর পাঁচজনের মতো একটা ঘর চেয়েছিলেন। স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসার চেয়েছিলেন। কিন্তু তা জোটেনি সুচরিতার। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও স্ত্রী-ধন ফিরে পাচ্ছেন না তাঁরা। এমনকী ডিভোর্সের পর মেলেনি খোরপোশও। এমন অনেক সুচরিতা রয়েছেন, যাঁরা সহায়-সম্বল হারিয়ে সুবিচারের আশায় আদালতের দরবারে হাজির হয়েছেন। এমন কত সুচরিতা রয়েছেন, তা জানতে চাইল হাইকোর্ট। জানতে চাইল কত মামলা বিচারাধীন রয়েছে? মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় জানতে চেয়েছেন পরিসংখ্যান।
আরও পড়ুন-মিলুটিনোভিচে মুগ্ধ সন্দেশরা
২০০৮ সালে নিউ গড়িয়ার বাসিন্দা সুচরিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিয়ে হয় বিধাননগরের বাগুইআটির বাসিন্দা পেশায় আইটি কর্মী সঞ্জীব বসুর। কিন্তু ফুলশয্যার রাত থেকেই তাঁর কপালে জোটে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও বিয়ের তিন বছর পর তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। শেষপর্যন্ত ২০১২ সালে ডিভোর্স নেন সুচরিতা। আলিপুর আদালত তাঁর বাপের বাড়ি থেকে আনা যাবতীয় গহনা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি, মাসে ত্রিশ হাজার টাকা করে খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু অভিযোগ, আদালতের নির্দেশের পরেও সেই সময় তাঁর বাপের বাড়ি থেকে আনা সামান্য জিনিসপত্র ও তাঁর যাবতীয় গয়না ফেরত দিতে অস্বীকার করে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে এনিয়ে মামলা হয়। মামলা চলাকালীন তাঁর স্বামী মালয়েশিয়ায় চলে যান বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন-আজ সুপারের প্রস্তুতি শুরু মোহনবাগানের
এমন অবস্থায় ১১ বছরের বেশি সময় ধরে মামলা লড়ে যাচ্ছেন সুচরিতা। গয়না পাওয়া তো দূরের কথা, ডিভোর্সের পর মিলছে না খোরপোশও। বর্তমানে মামলাটি চলছে বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে। আইনজীবী সাবির আহমেদ জানান, রেড কর্নার নোটিশ থাকা সত্ত্বেও তাঁর স্বামী চলে গিয়েছেন মালয়েশিয়ায়। এ ব্যাপারে আদালত জানতে চেয়েছে, রেড কর্নার নোটিশ জারি থাকার পরেও কীভাবে দেশ ছেড়ে বিদেশে যাচ্ছেন অভিযুক্ত? পুলিশি ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়। এই মামলায় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আদালতে শীতের অবকাশের পর এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। সেই শুনানিতেই পরিসংখ্যান পেশ করতে হবে আদালতে।