প্রতিবেদন : কেন্দ্রের ১০০ দিনের বঞ্চনার টাকা মেটাবে রাজ্য, এই প্রতিশ্রুতি আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর গ্রামের প্রতিটি ব্লকের পঞ্চায়েত এলাকায় সহায়তা কেন্দ্র চালু হবে বলে জানিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই মতোই রবিবার থেকে শুরু হল তৃণমূলের সহায়তা শিবির। প্রথম দিনই রাজ্য জুড়ে সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বিশেষ করে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই শিবির চলবে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
আরও পড়ুন-সন্দেশখালিকাণ্ডে পুলিশকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বকেয়া টাকা না মেটানোর অভিযোগ তুলেছে রাজ্য সরকার। ৩,৩৪৩টি পঞ্চায়েতেই এই শিবির করা হয়েছে। এই কর্মসূচিতে মানুষের দরজায় গিয়ে বলতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ পয়লা মার্চের মধ্যে টাকা পান। শিবির শেষের দুটি দিনের মধ্যেই যাতে সাধারণ মানুষ টাকা পান, সেটা নিশ্চিত করতে হবে বিধায়কদের। খড়িবাড়ি পানিশালি, রানিগঞ্জ ও বুড়াগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনটি সহায়তা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এছাড়াও দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ সহ অন্য কর্মীরা ১০০ দিনের কাজের বঞ্চিত শ্রমিকদের সহায়তা কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। এদিন সহায়তা কেন্দ্র পরিদর্শন করে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, আগামী মাসে ১০০ দিনের টাকা বকেয়া মজুরির টাকা রাজ্যের সকলে পেয়ে যাবেন। তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালে কাজ করেও টাকা পায়নি জর্বকার্ডধারীরা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর ১ মার্চ থেকে এদের টাকা ঢুকবে অ্যাকাউন্টে। পাশাপাশি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাও ঢুকবে।
আরও পড়ুন-আজ চড়িয়াল সেতু উদ্বোধনে অভিষেক
এই শিবিরের মধ্যে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ অঞ্চল কমিটি তথ্য সংগ্রহ করবেন। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত— আট ঘণ্টা এই শিবির চলবে। একটা আবেদনপত্র দেওয়া হচ্ছে শিবির থেকে। সেটা স্থানীয়রা পূরণ করবেন। সেই আবেদনপত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
দু’বছর ধরে এই ১০০ দিনের টাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের লড়াই-আন্দোলনের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে তাঁদের। আট দিনে কম করে ৩০টা শিবিরে যেতে হবে। সাংসদদের ক্ষেত্রে প্রত্যেক সংসদ এলাকায় সাতটি করে বিধানসভা রয়েছে৷ প্রত্যেকটি বিধানসভার পাঁচটি করে ক্যাম্পে যেন তাঁরা যান বলে নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।