ছন্দে সন্দেশখালি, হল তৃণমূলের কর্মিসভা

কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে, ধাপে ধাপে বাকিদেরও দেওয়া হবে। তৃণমূলের নজিরবিহীন এই পদক্ষেপে খুশি সন্দেশখালি।

Must read

প্রতিবেদন : সিপিএম-বিজেপি যৌথভাবে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করে এলাকা উত্তপ্ত করছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেস এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ রাজধর্ম পালন করে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের গ্রেফতার করেছে। মানুষের অভাব অভিযোগ শুনে তার সমাধান করছে। এজন্যই অন্যদের থেকে আলাদা তৃণমূল।

আরও পড়ুন-সহায়তা কেন্দ্রের শুরু নামল জনতার ঢল

সন্দেশখালিতে কর্মিসভা শেষ করে সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি আরও বলেন, আগামী ৩ মার্চ সন্দেশখালিতে বড় জনসভা হবে, এদিন তার প্রস্তুতি সভাও করা হয়। কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয় তার প্রস্তুতিতে। অন্যদিকে, দমকলকর্মী সুজিত বসু বলেন, কেউ যদি অন্যায় করে থাকে, আর সেটা যদি প্রমাণিত হয় তবে আইন তার ব্যবস্থা নেবে। দল তাকে রেয়াত করবে না। আমরা কারও মুখ বন্ধ করতে আসেনি। আমরা সন্দেশখালির মানুষের কথা শোনার জন্যই এসেছিলাম। তাদের কোনও সমস্যা থাকলে তার সমাধান করবে সরকার। সন্দেশখালি বিধানসভায় দুটি ব্লক আছে, আছে ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত। তার মধ্যে মাত্র দু-তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্যা হয়েছে। অন্যান্য জায়গা স্বাভাবিকই আছে। মানুষ আমাদের পাশে আছে তা আগামী দিন সন্দেশখালিতে জনসভার মধ্য দিয়ে আমরা বুঝিয়ে দেব। রবিবার সন্দেশখালি আসেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো, বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হাজি নুরুল ইসলাম-সহ অন্যরা। এদিন বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের শেহারা অঞ্চলে বিশাল কর্মিসভা হয়। সদস্যারা ১৪৪ ধারা বর্জিত এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন। সন্দেশখালি ১ ও ২ নম্বর ব্লকের কয়েক হাজার তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা এই কর্মিসভায় হাজির হয়।

আরও পড়ুন-আজ চড়িয়াল সেতু উদ্বোধনে অভিষেক

আগামী দিনের সন্দেশখালি-কাণ্ড নিয়ে কীভাবে শাসকদলের রণনীতি হবে তা খাতাকলমে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে সন্দেশখালির বঞ্চিতদের নামের তালিকা তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশ রাজধর্ম পালন করে অভিযুক্ত উত্তম সর্দার ও শিবোপ্রসাদ হাজরাকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ ক্যাম্প করা হচ্ছে। ফলে মানুষের ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে। উপরন্তু তারা সরকারের এই পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এসব কিছুর সঙ্গে সঙ্গেই সন্দেশখালিতে গ্রামবাসীদের জলকরের টাকা ফেরানোর কাজও শুরু করেছে তৃণমূল। কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে, ধাপে ধাপে বাকিদেরও দেওয়া হবে। তৃণমূলের নজিরবিহীন এই পদক্ষেপে খুশি সন্দেশখালি। এদিন শিবু হাজরাকে আদালতে তোলা হলে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

Latest article