বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানোর দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিদের মধ্যে এদিনের বৈঠক নিস্ফলা রইল (West Bengal- DA)। বৈঠকে কোনো সমাধান সূত্র মেলেনি বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য রাজ্য সরকার তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে কোনো কাজের কথা বলেনি। আগামী দিনে আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়ানোর কথা তাঁরা নবান্নে দাঁড়িয়েই জানিয়ে দিয়েছেন। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে নবান্নে আয়োজিত এই বৈঠকে আন্দোলনকারীরা তাদের বকেয়া ৩৬ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা (West Bengal- DA) মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানালে সেই দাবিকে পূর্ণ সমর্থন করেন সরকারি প্রতিনিধিরা। তবে রাজ্য কোষাগারে যথেষ্ট টাকা না থাকায় এখনই তাদের দাবি মেটানো সম্ভব হচ্ছে না বলে রাজ্য সরকারের তরফে তাদের জানানো হয়েছে বলে মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ পরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন প্রকল্পে রাজ্যের অনেক টাকা আটকে রেখেছে বলে বৈঠকে রাজ্যের তরফে বারবার জানানো হয়। কিন্তু তার সঙ্গে মহার্ঘ ভাতার কোন সম্পর্ক নেই এবং সব ধরনের তথ্য প্রমাণ দিয়ে রাজ্যে তহবিলেরও অভাব নেই বলে মঞ্চের তরফে মুখ্যসচিবকে জানানো হলেও তিনি তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি বলে ভাস্করবাবু জানান। তাদের দাবি না মানায় সরকারি কর্মীরা ধর্মতলায় তাদের ধর্না মঞ্চে আন্দোলনের তীব্রতা আরও বৃদ্ধির পাশাপাশি আগামী ৬ মে দক্ষিণ কলকাতার হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট থেকে এক মহামিছিলের ডাক দিয়েছে। পাশাপাশি পুনরায় কর্মবিরতিতে যাওয়ারও হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানানোর পাশাপাশি সরকারি নিয়োগে অস্বচ্ছতা ও ব্যাপক দুর্নীতি এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে পরিকল্পিত পোষণ হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে মঞ্চের তরফে মুখ্যসচিবকে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়েছে। আজকের বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে অর্থ সচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্র সচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা সহ যৌথ মঞ্চ এবং তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।