ভোররাতে হঠাৎ করেই গুজরাটের (Gujrat) জুনাগড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ কর্মী। বুলডোজার নিয়ে তারা পৌঁছে যান দরগার সামনে। ভেঙে ফেলা হয় জুনাগড়ের দরগা। শুধু তাই নয়, দু’টি মন্দিরও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ করা হয়, সবক’টিই বেআইনি জমিতে তৈরি হয়েছিল। মধ্যরাত ২টো নাগাদ দরগা ভাঙার কাজ শুরু হয়। আজ, রবিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত চলে বুলডোজার দিয়ে ভাঙার কাজ। এই ঘটনার জন্য এলাকায় মোতায়েন করা হয় হাজারের উপর পুলিশ কর্মী। যেকোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা বিষ জোরদার করা হয়। দরগা চত্বরের চারিপাশে ৩০০ থেকে ৪০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত ব্যারিকেড করা হয়।
আরও পড়ুন-‘কলকাতায় ভালোবাসা পেয়েছি’ প্রার্থী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদজ্ঞাপন ইউসুফের
প্রসঙ্গত, জুনাগড়ের মেজবেড়ি এলাকার এই দরগাটি দু’দশকেরও বেশি পুরনো। রাস্তার মাঝামাঝি এটি ছিল। দরগাটি অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল বলা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে তাই এটি ভেঙে ফেলা হয়। আগেও বহুবার বুলডোজার অ্যাকশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত বছর জুন মাসেও পুলিশের একটি টিম দরগার সামনে যায় কিন্তু, স্থানীয়দের বিরোধিতায় পুলিশের টিম কাজ করতে পারে নি। উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে আসা পুলিশদের লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। এক ডেপুটি এসপি সহ তিন পুলিশকর্মী জখম হন। তাই এবার আর কোনরকম ফাঁক না রেখেই বুলডোজার চালানো হয়।