সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : শুক্রবার চৈত্রসংক্রান্তির দিন পুরনো বছরকে বিদায় জানাতে জহরবেদিতে সাদা আলপনা দেওয়ার পরই নতুন বছরকে বরণ করে অভ্যর্থনাস্বরূপ সেই আলপনাকে রঙিন করে তোলার মধ্য দিয়ে শুরু হল বর্ষবরণ উৎসব। শনিবার ভোর পাঁচটায় গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিকের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় এই বর্ষবরণ উৎসব। সকাল সাতটায় উপাসনাগৃহে হয় উপাসনা। সকাল ন’টায় ঘণ্টাতলায় বর্ষবরণের আসর বসে। গৌরপ্রাঙ্গণে সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয় নৃত্যনাট্য। উল্লেখ্য, আগে বর্ষবরণের সঙ্গেই কবিগুরুর জন্মদিন পালিত হত। প্রচণ্ড দাবদাহ ও জলকষ্টের জন্য সে সময় বিশ্বভারতীতে (Visva- Bharati) ছুটি পড়ে যেত। ২৫ বৈশাখ ছুটি থাকার ফলে গুরুদেবের জন্মদিন আগেই পালন করা হত। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি নেই। তাই এখন পঁচিশে বৈশাখ আলাদাভাবেই গুরুদেবের জন্মদিন পালন করা হয়। বিশ্বভারতীতে ) প্রথম নববর্ষ পালিত হয় ১৯৩৬ সালের ১৫ এপ্রিল। বাংলা ১৩৪৩ সালে। ১৯৪১ সালের ১৪ এপ্রিল তথা বাংলা ১৩৪৮ সালের ১লা বৈশাখ বর্ষবরণের দিনই কবির জীবদ্দশায় তাঁর শেষ জন্মদিন পালন করা হয়েছিল।