সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: গত পূর্ণিমার কোটাল ও নিম্নচাপের জোড়া ফলায় সুন্দরবনের নামখানা ও সাগর ব্লকের নদী ও সমুদ্র বাঁধের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে তড়িঘড়ি সেই বেহাল বাঁধ মেরামতিতে হাত লাগাল সেচ দফতর। সাগর ব্লকের মন্দিরতলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চকফুলডুবি ও মন্দিরতলায় হুগলি নদীর বাঁধের ব্যাপক ধস নামে। ইটের তৈরি বাঁধের প্রায় একশ ফুটের বেশি এলাকাজুড়ে ধস নেমে নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার পরেই সেই বেহাল বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-কুৎসার রাজনীতি করতে গিয়ে এবার বিশ্বভারতীর উপাচার্য পড়লেন ফাঁদে
ইটের টুকরো, বাঁশ, বল্লা, বালির বস্তা দিয়ে সেই কাজ চলছে। এলাকার মানুষের পাশাপাশি জেসিবি দিয়ে চলছে মেরামতির কাজ। অন্যদিকে এই ব্লকের গঙ্গাসাগর পঞ্চায়েতের মহিষামারি এলাকাতেও চলছে বাঁধ মেরামতির কাজ। এই এলাকায় সমুদ্র লাগোয়া বাঁধটি জলোচ্ছ্বাসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই বাঁধেরও কাজ চলছে। অন্যদিকে নামখানা ব্লকের মৌসুনি দ্বীপের বালিয়াড়া ও সল্টঘেরি এলাকায় নদী ও সমুদ্রের জলের তোড়ে ভাঙনের কবলে তীরবর্তী এলাকা। এই এলাকায় বেশ কিছু হোম-স্টে গড়ে উঠেছিল। সেই কটেজগুলি জোয়ারের জলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছে তীরবর্তী বেশ কিছু গাছ।
আরও পড়ুন-স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি পোশাক এবার স্কুলে-স্কুলে
এই এলাকার পাশ দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি কংক্রিট বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ফ্রেজারগঞ্জের বিজয়বাটি এলাকায় বঙ্গোপাসাগরের বাঁধ ক্ষতি হয়েছে। এই এলাকাতেও সরকারি সাহায্য নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁধ মেরামতি শুরু করেছে। ইতিমধ্যে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা সেচ ও জলপথ দপ্তরে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দ্রুত বেহাল বাঁধ মেরামতির নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, পূর্ণিমার কোটালে কিছু বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। সেচ দফতরকে দ্রুত মেরামতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।