প্রতিবদেন : ফের প্রশ্নের মুখে রেলের রক্ষণাবেক্ষণ। এবার তালিকায় টয়ট্রেন। গরমে বিকল হয়ে গেল টয়ট্রেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকল সোনদা এবং ঘুম স্টেশনরে মাঝে। আনন্দ উপভোগ করতে এসে নাকাল হলেন পর্যটকেরা। শেষে যাত্রীরাই বালতি দিয়ে জল ঢেলে ঠাণ্ডা করলেন ইঞ্জিন। বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ঘটল এমনই ঘটনা। অভিযোগ, রেল আধিকারিকদের খবর দেওয়ার পরেও বহুক্ষণ কেউ আসেননি ঘটনাস্থেলে। প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ার আসেন।
আরও পড়ুন-অসুর সম্প্রদায়ের উন্নয়নের উদ্যোগ, আশ্বাস বিধায়কের
এরপর দার্জিলিংয়ের দিকে রওনা করান ট্রেনটিকে। এমন ঘটনায় রেলের ব্যবস্থানায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীরা। প্রবল গরমে শীতলতার স্বাদ নিতে এখন পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড়। প্রকৃতির শোভ উপভোগ করতে প্রচুর পর্যটক এদিন টয়ট্রেনের সওয়ারি ছিলেন। এ ছাড়া স্থানীয় অনেক মানুষ কাজের জায়গায় যেতে টয়ট্রেন ব্যবহার করেন। কাজ সেরে তাঁরা অনেকেই এদিন ঘুম থেকে দার্জিলিং ফিরছিলেন। তার মাঝেই এই বিপত্তি। একের পর এক আসছে রেল দুর্ঘটনার খবর। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ স্মৃতি এখনও মানুষের মনে দগদগে। এরই মধ্যে রাজ্য-সহ ভিন রাজ্যের মালগাড়ির কাপলিং খুলে দুর্ঘটনা, মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে লাইচ্যুত গ্যাসের কন্টেনার-সহ একাধিক খবর এসেছে।
আরও পড়ুন-মানুষের জন্যই এই গরমে পথে অভিষেক, প্রতিবাদসভায় দাবি কাকলির
এরই মধ্যে পাহাড়ের ঐতিহ্য টয়ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়ল রেল। স্বাভাবিকভাবেই যাত্রী এবং পর্যটকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে ইঞ্জিন বিকল হওয়ার খবর পেয়েও কেন দেরিতে এলেন ইঞ্জিনিয়াররা? যাত্রীদেরকেই কেন ট্রেন সচল করার দায়িত্ব নিতে হল? যদিও রেল এই ঘটনার দায় পুরোপুরি এড়িয়ে গিয়েছে। ক্ষোভ উগরে দিয়ে ওই টয়ট্রেনে থাকা পর্যটকেরা বলছেন, রেলের গাফিলতির কারণে আমাদের একটা গোটা দিন নষ্ট হয়েছে। স্থানীয় যাত্রীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেলের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে। তাঁরা বলছেন এর আগেও এমন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে।