সিত্রাং-আতঙ্ক কাটিয়ে সুন্দরবনের মানুষের পুজো দেখার ধুম

সিত্রাং নিয়েও তাই স্বাভাবিক ভয় ছিল। তবে তা দিক পরিবর্তন করে বাংলাদেশ চলে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত স্বস্তি মিলেছে জেলার মানুষদের।

Must read

সংবাদদাতা বসিরহাট : দুর্যোগের আতঙ্ক কাটল। মঙ্গলবার ভোর থেকে আকাশ জুড়ে ঝলমলে রোদ। ফলে খুশির হাওয়া সুন্দরবনবাসী-সহ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে। ত্রাণশিবির থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন মানুষ। এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন। এর আগে আয়লা, আমফান, ইয়াস-অভিজ্ঞতা ভাল নয়।

আরও পড়ুন-সাতভাই কালীতলা মন্দিরে ডাকাতদের প্রতিষ্ঠিত মূর্তি

সিত্রাং নিয়েও তাই স্বাভাবিক ভয় ছিল। তবে তা দিক পরিবর্তন করে বাংলাদেশ চলে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত স্বস্তি মিলেছে জেলার মানুষদের। বসিরহাটের মহকুমা শাসক মৌসুম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অমাবস্যার কারণে জোয়ার ছিল। নদীতে ১ থেকে দেড় মিটার জলস্ফীতি ঘটলেও বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢোকেনি। কোনও বাড়িঘর, গাছপালা ভাঙার খবর নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক।” আর এই পরিস্থিতিতে দীপাবলির আনন্দে পুজো মণ্ডপগুলিতে ভিড় জমাতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। প্রত্যন্ত সুন্দরবনে দীপাবলির দিন একাধিক মণ্ডপের মাইক, লাইট বন্ধ করে আতঙ্কের মধ্যে দিনরাত কাটাতে হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর হতেই এলাকার বিভিন্ন মণ্ডপে ফের বেজে উঠল শ্যামা মায়ের গান। আনন্দে মেতে ওঠে আট থেকে আশি। প্রশাসনের পক্ষে সন্দেশখালি, ধামাখালি, নেজাট, মালঞ্চ, হাসনাবাদ, লেবুখালি, ভাণ্ডারখালি, সাহেবখালি, মোল্লাখালি-সহ একাধিক ফেরিঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেগুলিও খুলে দেওয়া হয়।

Latest article