সংবাদদাতা, মালদহ : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প চোখের আলো। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে দৃষ্টি ফিরে পেল দৃষ্টিহীন একই পরিবারের দুই সদস্য। বাকি তিন সদস্যের অস্ত্রোপচারও হবে খুব শীঘ্রই। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলার গাজোল থানার তুলসীডাঙার বাসিন্দা বিশ্বনাথ সরকার ও তাঁর স্ত্রী অর্চনা সরকার দৃষ্টিহীন। তাদের ছেলে মেয়ে অমিত (২০), সুমিত (১৫), সোমা (১) ও সোনালি (৪)। অমিত ছাড়া বাকি সকলেই দৃষ্টিশক্তিহীন। পথে ভিক্ষা করেই চলে তাদের সংসার।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আজ ৪ জেলা একজোট
এমতাবস্থায় পরিবারের পক্ষে চোখের চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি। সেই অন্ধকার জীবনে আলো এনে দিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘চোখের আলো’ প্রকল্প। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের চিকিৎসকের অস্ত্রোপচারে আপাতত সুমিত (১৫) ও সোমা (১২) ফিরে পেয়েছে চোখের আলো। পরিবারের আরও তিন সদস্যের অস্ত্রোপচারও হবে খুবই শীঘ্রই। চোখের আলো প্রকল্পের মাধ্যমে দৃষ্টি ফিরে পেয়ে খুশি এই পরিবার। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের চক্ষু বিভাগের চিকিৎসক সুমন চট্টোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় চিকিৎসা। তারই নেতৃত্বে গঠিত হয় মেডিক্যাল টিম।
আরও পড়ুন-পুরসভা সামলে এবার অভিনয়ে চেয়ারম্যান
ঠিক হয় দুটি পর্যায়ে এই পরিবারের পাঁচ সদস্যের অস্ত্রোপচার হবে। প্রথম পর্যায়ে সুমিত ও সোমার অস্ত্রোপচার হয়। চক্ষু চিকিৎসক সুমন চট্টোপাধ্যায়-সহ বিশ্বজিৎ কুমার, হাতিমারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চক্ষু পরীক্ষক অজিতকুমার দাস, কর্মী সুভম তেওয়ারির সহযোগিতায় সফল হয় দৃষ্টিহীনদের দৃষ্টি ফিরে পাওয়ার লড়াই। এ বিষয়ে পরিবারের কর্তা বিশ্বনাথ সরকার বলেন, আমি নিজেও দৃষ্টিহীন। নিজের দৃষ্টি ফিরে না পেলেও আপাতত আমার পরিবারের এক ছেলে এবং এক মেয়ে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ায় খুবই খুশি। এটা সম্ভব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর চোখের আলো প্রকল্পের মাধ্যমে।