কৃষক আন্দোলনে প্রথম শহিদ

কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, লাঠিচার্জ কিছুই বাকি রাখেনি কেন্দ্র। কৃষকদের প্রতি কেন্দ্রের যে কোনও সহানুভূতি নেই তা ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল।

Must read

প্রতিবেদন : কৃষক আন্দোলনকে দমনের নামে কেন্দ্র বর্বরতা শুরু করেছে। কৃষকদের প্রতি নির্মম আচরণ করা হচ্ছে শম্ভু সীমান্তে। কৃষকদের আটকাতে কেন্দ্রের প্রতিরোধে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত। ড্রোন থেকে ছোঁড়া হচ্ছে কাঁদানে গ্যাস। জলকামান, লাঠিচার্জ তো আছেই। এরই মধ্যে আন্দোলনে আসা ৭৮ বছরের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে শুক্রবার সকালে। কৃষক আন্দোলনের প্রথম শহিদ তিনি। কেন্দ্রের দমনমূলক নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়েই প্রাণ হারাতে হল তাঁকে।

আরও পড়ুন-অগ্নিকন্যা আশালতা

ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে কৃষকমহলও। এর আগে ২০২০ সালের ৯ অগাস্ট থেকে ১৩ মাস ধরে প্রথম দফার কৃষক আন্দোলনে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৭৫০ কৃষকের। দাবি না মেটায় আবারও ক্ষুব্ধ কৃষকরা দিল্লিমুখী অভিযানে শামিল হন শম্ভু সীমান্তে। এই আন্দোলন বানচাল করতে সমানে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাচ্ছে দিল্লি পুলিশ। ড্রোনের মাধ্যমে কাঁদানে গ্যাসের সেল উড়িয়ে কৃষকদের আটকানোর চেষ্টা চলছে। এর ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুক্রবার জ্ঞান সিং নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর জেলার চাচোকি গ্রামে। দ্বিতীয় দফার আন্দোলনে তিনিই প্রথম শহিদ। এদিন সকালে দিল্লির শম্ভু সীমান্তে আন্দোলনরত জ্ঞান সিং হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তাঁকে প্রথমে পাঞ্জাবে রাজপুরের সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পাতিয়ালার রাজেন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রথম আন্দোলন তুলে নেওয়ার পর কেন্দ্রের সঙ্গে তিনবার আলোচনা হলেও কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। তাই দিল্লিতে নিজেদের দাবি পেশ করতে অভিযানে নামে ২৫টির বেশি কৃষক সংগঠন। পরিস্থিতি সামাল দিতে একমাসের জন্য জারি হয় ১৪৪ ধারা। কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, লাঠিচার্জ কিছুই বাকি রাখেনি কেন্দ্র। কৃষকদের প্রতি কেন্দ্রের যে কোনও সহানুভূতি নেই তা ফের একবার প্রমাণ হয়ে গেল।

Latest article