প্রতিবেদন : আগামী বছরের শুরুতেই দেউচা পাঁচামি খনি প্রকল্পে খননের কাজ শুরু হতে চলেছে। প্রথম পর্যায়ে ভূগর্ভে থাকা কয়লার স্তরের ঠিক উপরের স্তরে থাকা ব্যাসল্ট তোলার কাজ শুরু করা হবে বলে নবান্নে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। দেউচা পাঁচামিতে প্রায় ১৪২ মেট্রিক টন ব্যাসল্ট পাথর আছে বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন-বেনারসের আদলে কোপাইয়ের ঘাটে মঙ্গলারতি
খোলা বাজারে এই ব্যাসল্ট পাথরের দাম প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। শীঘ্রই ব্যাসল্ট পাথর তোলার জন্য টেন্ডারের প্রক্রিয়া শুরু হবে। দেউচা পাঁচামিতে কত কয়লা মজুত রয়েছে, তার ধারণা ইতিমধ্যে দিয়েছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। ২০০৮ সালে একবার সংসদে লিখিত প্রশ্নের জবাবে তৎকালীন কেন্দ্রীয় কয়লা প্রতিমন্ত্রী সন্তোষ বাগরোডিয়া জানিয়েছিলেন, দেউচা পাঁচামি এলাকায় কয়লার চারটি জোন রয়েছে। তাতে ২০২৬ মিলিয়ন টন তথা ২০২.৬ কোটি টন কয়লা মজুত রয়েছে। তবে এর উপরে তিন থেকে পাঁচটি স্তরে রয়েছে ব্যাসল্টের চাদর। ব্যাসল্ট হল একটি অতি কঠিন পাথর। তাতে লোহা ও ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে।
আরও পড়ুন-প্ল্যাটফর্ম ও স্টেশন চত্বরের পুরনো জলাধার ভাঙা শুরু
দেউচা পাঁচামি এলাকায় মাটির নীচে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ মিটার পুরু ব্যাসল্ট পাথরের চাদর রয়েছে। তার নীচে রয়েছে কয়লা। অর্থাৎ কয়লার নাগাল পেতে হলে আগে ব্যাসল্টের চাদর সরাতে হবে। প্রথম ধাপে ৪২০ একর জমিতে ব্যাসল্ট পাথর তোলার কাজ শুরু করতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নবান্ন সূত্র জানাচ্ছে, ব্যাসল্ট রক বা ব্যাসল্ট পাথরের বাজারে চাহিদা প্রচুর। এই পাথর মূলত রাস্তা তৈরি, বাড়ি তৈরি, ব্রিজ তৈরিতে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ৪২০ একর জমি থেকে প্রায় ১৪২ মিলিয়ন টন অর্থাৎ ১৪.২ কোটি টন ব্যাসল্ট পাথর পাওয়া যেতে পারে। যার মূল্য প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা।