সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ : চলতি মরশুমের সামুদ্রিক মাছ ধরা শুরু হয়েছে ১৫ জুন। এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে দুটি ট্রলারডুবি। সবাইকে উদ্ধার করা গেলেও দুর্ঘটনা এড়াতে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে সরকার। প্রথম ঘটনাটি গত শুক্রবার জম্বুদ্বীপের অদূরে ছাইমারা দ্বীপের কাছে। হোসপাইপ ফেটে ডুবে যায় এফবি স্বর্ণময়ী। ১৮ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। অন্য ট্রলার সবাইকেই উদ্ধার করে। রবিবার বিকেলে জম্বুদ্বীপ ও সাগরের মাঝবরাবর বঙ্গোপসাগরে উত্তাল ঢেউয়ে এফবি মহামায়া-র পাটাতন ফেটে যায়।
আরও পড়ুন-পিঠে পার্সেল, সাইকেলে সওয়ার দুই স্নাতক যুবতী
১২ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। সবাইকে উদ্ধার করা হয়। এই ট্রলারটিও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গত কয়েক বছর বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্র উত্তাল হয়েছে। জলস্তরও বেড়েছে। গভীর সমুদ্রে মাছধরা এখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। গত কয়েকদিনে পশ্চিমের বাতাস বইছে। মৎস্যজীবীদের ভাষায় ‘লঙ্কাগন’। যা বিপদ ডেকে আনে। ট্রলার রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না বলেও মত মৎস্যজীবীদের একাংশের। কারণ দুটি ট্রলারের যান্ত্রিক ত্রুটি সামনে এসেছে। সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার আগে ট্রলারগুলি ফিট কি না যাচাই না করায় বারে বারে দুর্ঘটনা, বলে মত।
আরও পড়ুন-বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা পিছিয়ে গেল একদিন, অনলাইন দাবিতে অনড় পড়ুয়ারা
গত বছর বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর পর মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি নামখানায় এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সমুদ্রে নামার আগে ট্রলারগুলিকে ফিট সার্টিফিকেট নিতে হবে। এজন্য অভিজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি করার প্রস্তাব আসে। চলতি বছরে পূর্ব মেদিনীপুরে ট্রলার দুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তিনটি ট্রলার ডুবেছে। সহ মৎস্য-অধিকর্তা (সামুদ্রিক) জয়ন্ত প্রধান বলেন, ‘মৎস্যজীবী ইউনিয়নগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছি। ওঁদের জীবনরক্ষাই প্রধান কাজ।’