প্রতিবেদন : ভোটের সময় চেয়েও পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী পায়নি নির্বাচন কমিশন। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও বারবার চিঠি দিলেও প্রয়োজনমতো বাহিনী এসে পৌঁছয়নি। ওপরওয়ালার নির্দেশে ভোটের পর দায় এড়াতে এখন নাটক শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্বে থাকা কর্তারা। অথচ বাস্তব হল, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। এমনকী রাজ্যের কোন জেলায় কোন ধরনের কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে তা ঠিক করে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
আরও পড়ুন-কলকাতা থেকে জেলায় একুশের প্রচার জোরকদমে
একাধিকবার কমিশনে চিঠি পাঠিয়ে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে তারা নির্দেশ দিয়েছে। অথচ পর্যাপ্ত বাহিনী পাঠায়নি। এখন পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গা বাঁচাতে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্বে থাকা নোডাল অফিসার বলছেন, আমরা বুথের তালিকা পেলেও স্পর্শকাতর বিষয়টা বুঝতে পারিনি। কিন্তু এটা স্বীকার করছেন না যে পর্যাপ্ত বাহিনী ছিল না। তবে রিজার্ভ ফোর্স এল না কেন? লেহ থেকে বাহিনী তুলতে হল কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে? এই প্রশ্নগুলির জবাব নেই। রাজীব সিনহার স্পষ্ট বক্তব্য, যেটুকু বাহিনী পাওয়া গিয়েছে তা প্রয়োজনমতো কাজে লাগানো হয়েছে। একদিকে বিজেপি-সহ বিরোধীরা হার নিশ্চিত বুঝে নানা কাঁদুনি গাইতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে চলছে বিরামহীন সন্ত্রাস। রক্ত ঝরছে তৃণমূলকর্মীদের। অন্যদিকে বাহিনী নিয়ে দায়সারা সাফাই।
আরও পড়ুন-রাজ্যসভার ভোটের প্রস্তুতি শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস
সব মিলিয়ে রামধনু জোট আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ব্যর্থতা প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, বিএসএফ নানারকম ছুতো করছে। কমিশন যত বাহিনী চেয়েছিল তা দেওয়া হয়নি। ওঁদের কাছে রিজার্ভ ফোর্স নেই। বাহিনী দিতে দেশের সুরক্ষা আপস করে সীমান্ত থেকে তুলে আনা হচ্ছে। আদালতে গেলে ওঁদের মুখোশ খুলে যাবে। দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত করা যাদের কাজ সেই বাহিনী কেন সীমান্ত থেকে আনা হল! আসলে বিজেপির ইগো স্যাটিসফাই করতে হচ্ছে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়, যেটুকু পাওয়া গিয়েছে সেই বাহিনী ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁর কটাক্ষ, এত ভালভাবে ব্যবহার হয়েছে যে জওয়ানরা বুথে বুথে ঘুরে বলে বেড়িয়েছে বিজেপিকে ভোট দিন! এরপরে কোন মুখে কথা বলে দলবদলু গদ্দার আর রামধনু জোটের নেতারা