সঞ্জিত গোস্বামী পুরুলিয়া: রাজ্য সরকারের এ এক অভিনব ভাবনা। এলাকায় বনসুরক্ষা এবং সবুজায়নে বিশেষ ভূমিকা থাকে যাঁদের, রাজ্য বন দফতর কোনও এলাকায় বন থেকে গাছ কেটে বাজারে বিক্রি করলে প্রাপ্ত অর্থের লভ্যাংশ দিচ্ছে তাঁদের। এর ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার বনরক্ষা কমিটিগুলি আরও উৎসাহ পাচ্ছে। কাজ করছে আরও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে।
আরও পড়ুন-গ্রেফতার বিজেপি নেতা, খেজুরিতে ভোট পরবর্তী হিংসা ও বোমাবাজির অভিযোগে
রবিবার বান্দোয়ানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এভাবেই বান্দোয়ান ১ ও যমুনা বিট এলাকার বনরক্ষা কমিটিগুলিকে লভ্যাংশ দেওয়া হল। সামনে কৃষির মরশুম আসছে, তাই বন দফতর কৃষকদের কিছু কৃষি যন্ত্রপাতিও দেয়। এদিন অনুষ্ঠানে ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীবলোচন সরেন ও জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি প্রতিমা সরেন। মন্ত্রী সন্ধ্যারানি বলেন, জেলায় বনরক্ষা কমিটিগুলির হাত ধরে সবুজায়ন বেড়েছে। এখন অরণ্য এলাকায় কোনও বিদেশি গাছ লাগানো হচ্ছে না।
আরও পড়ুন-উন্নত পরিষেবা কোচবিহার মেডিক্যালে
শাল, পিয়াল, মহুয়া, কেন্দু প্রভৃতি দেশি গাছ লাগানো হচ্ছে। তাই অরণ্য ঘন হয়েছে। তার জেরে বেড়েছে বন্যপ্রাণের সংখ্যা। তিনি এজন্য বনরক্ষা কমিটিগুলির সুখ্যাতি করেন। বিধায়ক রাজীবলোচন বলেন, বনে যেমন নিয়মিত গাছ লাগানো হয়, তেমনই নিয়মিত পরিদর্শনের মাধ্যমে পরিণত গাছ কেটেও ফেলা হয়। এই আয় থেকে লভ্যাংশ পান বনরক্ষা কমিটিগুলি। বনরক্ষা কমিটিগুলি ঢেলে সাজিয়ে সক্রিয় করতে হবে।