অসীম চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল : রাজ্যের বাকি তিন পুরনিগমের মতোই আসানসোলেও প্রবল সবুজ ঝড়ে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গেল বিরোধী শিবির। বিজেপি, কংগ্রেস ও বামেদের সমস্ত চক্রান্ত ব্যর্থ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের দাঁড়িপাল্লাতেই আস্থার সমর্থন রাখলেন খনি শিল্পাঞ্চলের মানুষ। একই সঙ্গে বিরোধীদের যাবতীয় কুৎসার মোক্ষম জবাব দিয়ে এই পুরনিগমের নির্বাচকরা প্রমাণ করলেন নির্বাচনে জিততে হলে ঘরে বসে ভার্চুয়াল লড়াই নয়, মাঠে নেমে উন্নয়ন করলে তবেই জনগণের হাত থেকে জয় নামক আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন-পরিধি বেড়ে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ
সোমবার সকাল থেকেই আসানসোলের ধাদকা পলিটেকনিক কলেজের দখল চলে যায় খাকি উর্দিধারীদের হাতে। বাসন্তী আগমনের হালকা শীতের মন ভাল করা আমেজেই একের পর এক খোলা হতে থাকে এই পুরনিগমের ১০৬টি ওয়ার্ডের ভোটের ঝাঁপি। প্রথমে পোস্টাল ব্যালটের বাক্সে হাত দিতেই সকলেই বুঝে যান আজ দিনটা পুরোপুরি তৃণমূলেরই। সকালটা দেখেই যেমন দিনটা কেমন যাবে তার আঁচ পাওয়া যায়, তেমনিই পোস্টাল ব্যালটের দিস্তাতেও কেবল সবুজের সমারোহ দেখে সমস্ত বিরোধী দলের এজেন্টদের চোখ সাতসকালেই কপালে উঠে যায়। প্রথম রাউন্ডের গণনার পরই সবুজ আবিরে আকাশ ছেয়ে যেতেই কাউন্টিং স্টেশন ছাড়তে শুরু করেন বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা।
আরও পড়ুন-ইডেনে দর্শক চেয়ে ফের বার্তা বোর্ডকে
গণনার ফল যত এগিয়েছে, তৃণমূল সমর্থকদের উল্লাসের ছবিটা ততই স্পষ্ট হতে থাকে রাজ্যের মানুষের কাছে। স্পষ্ট হতে থাকে আসানসোলের উন্নয়নের দশ দিগন্তের প্রতিশ্রুতির বাস্তবতা। গণনা শেষে আরও একটি ছবি দেখতে পেয়েছেন রাজ্যের মানুষ তা হল, বেশ কিছু ওয়ার্ডে যেমন বিরোধীরা দাঁড়াতেই পারেননি, তেমনি বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে রীতিমতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াইও হয়েছে এই পুরনিগম নির্বাচনে। যেমন ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের ফলাফলে দেখা গেছে তেমনই ছবি।
এই ওয়ার্ডে ত্রিমুখী লড়াই হয়েছে। এই ওয়ার্ডে রাজ্যের আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক মোট ৭০৮০টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এই ওয়ার্ডে মোট ভোট পড়েছে ৭৫৯০টি। এই ওয়ার্ডে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী রাজা মুখোপাধ্যায় পেয়েছেন মাত্র ৩৭৫টি ভোট।