সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : গতবারের তুলনায় এবার খাদ্য দফতর ধান (Paddy- West Bengal Government) কেনার লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে। ১৬ নভেম্বর থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে। এবার কম বৃষ্টির কারণে ধানের ফলন হয় দেরিতে। তাই ধান বিক্রির হিড়িক এখনও শুরু হয়নি। তবে দফতরের আধিকারিকরা মনে করছেন, নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে। এবার ঘরে বসেই চাষিরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কিংবা বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে গিয়ে অনলাইনে ধান বিক্রির জন্য স্লট বুকিং করতে পারছেন। চাষিদের এবার থেকে লাইন দিয়ে ধান (Paddy- West Bengal Government) বিক্রি করার জন্য টোকন সংগ্রহ করতে না হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। ধান বিক্রি নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ এতে বন্ধ হবে। গতবার জেলায় ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়। এবার লক্ষ্যমাত্রা ৫ লক্ষ ৭ হাজার মেট্রিক টন। জেলায় ৩৩টি কেন্দ্রীয় ধান ক্রয়কেন্দ্র আছে। চাষিরা নিজেদের সুবিধামতো নিকটবর্তী সিপিসিতে গিয়ে ধান বিক্রি শুরু করেছেন। তবে অধিকাংশ জমির ধান কাটা হয়নি। জেলা খাদ্য নিয়মক সুদীপ্ত সামস্ত বলেন, ‘১৬ তারিখ থেকে ধান দিচ্ছেন চাষিরা। কান্দি মহকুমায় বেশি ধান কেনা হয়েছে। এবার কম বর্ষার জন্য অনেক জায়গায় দেরিতে চারা রোপণ হয়েছিল। অনেক জমিতে ধান চাষ হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত উৎপাদন ভালো হয়েছে। কিছু জমিতে ধান পেকেছে। কয়েক জায়গায় ধান কাটা হয়েছে। অধিকাংশ ধান মাঠেই রয়েছে। আগামী মাস থেকে সিপিসিগুলিতে ধান বিক্রি আরও বাড়বে। বেশি সংখ্যক চাষি সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান দিতে পারবেন।’
আরও পড়ুন-জনসংযোগে শুরু হল শতাব্দীর পাড়া-বৈঠক