শুধু পুঁথিগত শিক্ষা বা কারিগরী শিক্ষা নয়, খেলাধুলার মাধ্যমেও জীবন গড়া যায়। গড়ে তোলা যায় কেরিয়ার। এই বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যের ক্রীড়ানুষ্ঠানগুলির কৃতি খেলোয়াড়দের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিচ্ছে বাংলার সরকার (West Bengal Government)।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই গত ১২ বছরে ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার ফুটবল খেলোয়াড়দের জন্য ক্লাবগুলিকে ‘জয়ী’ বল দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। নব প্রজন্মের মধ্যে, বিশেষ করে দূর-দূরান্তের গ্রামের তরুণদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করতে রাজ্য সরকার (West Bengal Government) বিভিন্ন ক্রীড়ানুষ্ঠান আয়োজন করছে।
২০১৬-১৭ সাল থেকে
• জঙ্গলমহল কাপ
• হিমাল-তরাই-ডুয়ার্স স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল
• সুন্দরবন কাপ
• সৈকত কাপ
• কোচবিহার কাপ
• খেত-নদী উৎসব
• জলতরং ক্রীড়া উৎসব
• রাঙ্গামাটি ক্রীড়া উৎসব
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে এবার প্রাক্তন সিবিআই কর্তা
তবে, শুধু খেলাই নয়, এর মাধ্যমে কর্ম সংস্থানেরও ব্যবস্থা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণে ক্রীড়া উৎসবে সব উইনার্স এবং রানার্সআপদের (Winners and Runners up) সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteers) হিসেবে নিয়োগ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই নীতির ফলে একদিকে যেমন তরুণ প্রজন্ম ক্রীড়া ক্ষেত্রে অংশগ্রহণে উৎসাহিত হবে, তেমন গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থানেরও সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ থেকে এই ক্রীড়ানুষ্ঠানগুলিতে বিজয়ী এবং রানার্সআপ ৪২৬৬-কে এবছর জুন পর্যন্ত বিশেষ ক্যাটাগরিতে সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। এখন রাজ্য সরকার জঙ্গলমহল কাপ, সৈকত কাপ এবং রাঙামাটি ক্রীড়া উৎসবে আরও ৫৮ জন বিজয়ী এবং রানার্সআপ এই বিশেষ ক্যাটাগরিতে সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসেবে নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছে।
এভাবে মোট ৪৩২৪ জন বিজয়ী ও রানার্সআপকে স্পেশাল ক্যাটাগরিতে সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে নিয়োগ করেছে। কেরিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে শুধু লেখাপড়ায় নয়, খেলাধুলার মাধ্যমেও এগিয়ে যাওয়া যায়। তরুণ প্রজন্মে এই বার্তা দিতে ও ক্রীড়াক্ষেত্রে তাদের উৎসাহিত করতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলার সরকার।