মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ, কর্মীদের পরিশ্রম শীঘ্রই আসছে সাফল্যের খতিয়ান

Must read

প্রতিবেদন : শীঘ্রই আসছে রাজ্যের উন্নয়নগাথা। নবান্নের উদ্যোগে পুস্তিকার আকারে প্রকাশিত হতে চলেছে গোটা রাজ্যের গত একদশকের উন্নয়নের খতিয়ান। অভিনব এই ভাবনার কাজ প্রায় শেষ। খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হবে দু’মলাটের ভিতরে রাজ্যের এই উন্নয়নগাথা। শুরুর দিকে অনেকেই ভেবেছিলেন প্রায় অসম্ভব একটা কাজ। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছায় ও সমস্ত দফতরের কর্মী, আধিকারিক এবং সচিবদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সেই কাজ আজ প্রায় সম্পূর্ণ। নবান্নের (Nabanna) খবর, খুব শীঘ্রই রাজ্যের উন্নয়নগাথা পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত হতে চলেছে।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা পাচ্ছে না রাজ্য। এরপরও নিজস্ব সম্পদ ব্যবহার করে কীভাবে স্বনির্ভর প্রকল্পের মাধ্যমে রাজস্বের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ানো সম্ভব হয়েছে তার উল্লেখ থাকছে পুস্তিকায়। গোটা পুস্তিকা জুড়ে রয়েছে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক অসম লড়াইয়ের গল্প। পুস্তিকার নামকরণ হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে।

আরও পড়ুন-রাজ্যের বইপ্রেমীদের জন্য এবার গ্লোবাল মেম্বারশিপ

মাসখানেক আগে নবান্নর (Nabanna) শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে দফতরের সচিবদের আলোচনাতেই উঠে আসে ভাবনা। যেমন ভাবা তেমন কাজ। দফতরের প্রধান সচিবরা সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে পুস্তিকার রূপরেখা চূড়ান্ত করেন। সেখানেই স্থির হয়ে যায় ২০১১ থেকে চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ছ’মাসে রাজ্যের ৩৪১ ব্লক ও ৬৭টি সাব ডিভিশনে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরা হবে এই পুস্তিকায়।

পুস্তিকায় থাকছে স্বাস্থ্যসাথীর মতো রাজ্য সরকারের প্রথম সারির জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের কথা। স্বাস্থ্যসাথীতে মাসে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা রোগীর চিকিৎসা ব্যয় খরচ হয়। এর ফলে রাজ্যের আড়াই কোটি পরিবারের সাড়ে দশ কোটি মানুষ উপকৃত। কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য মেয়েদের উচ্চশিক্ষার হার বেড়েছে। কমছে স্কুল ড্রপ আউটের সংখ্যা। প্রসূতি ও শিশুমৃত্যুর হার ২.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। রাজ্যে এইচআইভি, কালাজ্বরের মতো মারণ রোগ প্রায় নেই বললেই চলে। ২০২৫-এর মধ্যে টিবি মুক্ত বাংলা গড়ার জন্য কাজ চলছে জোরকদমে। টেলিমেডিসিন ও দুয়ারে ডাক্তার প্রকল্প এরই মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। স্বাস্থ্য দফতরের পাশাপাশি থাকছে রাজ্যের নিরাপত্তা ও নানা সামাজিক জনমুখী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিও। সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া এবং গ্রামরক্ষী বাহিনী গড়ে তোলার ফলে কমেছে চোরাচালান, নারীপাচারের মতো সামাজিক অপরাধ। নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের সঙ্গে পুলিশ সমন্বয় রেখে কাজ করায় এইসব অপরাধ অনেকটাই কমেছে। বেড়েছে থানা ও মহিলা থানার সংখ্যাও। এই মুহূর্তে রাজ্যে মহিলা থানার সংখ্যা ৩০-র উপরে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তুলনায় রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ বা সিআইডি’র তৎপরতা ও সাফল্যের খতিয়ানও থাকছে এই পুস্তিকায়।

Latest article