অনির্বাণ কর্মকার, দুর্গাপুর: এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে ডাকেন পাতি মা বলে। ধুমধাম করেই পুজো হয় কাঁকসার গোপালপুরের পশ্চিমপাড়ায় মণ্ডল, দে আর দত্ত পরিবারের পাতি মার। সপরিবার আসেন না পাতি মা। তাই নয়, শরীর নিয়েও আসেন না তিনি। চারদিন ধরে শুধু হয় তাঁর মস্তকপুজো। ২০০ বছরের বেশি সময় ধরেই চলে আসছে এইভাবে পাতি মার পুজো। কিন্তু কেন এই মস্তকপুজো আর কে এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা এ বিষয়ে কোনও তথ্য কারও জানা নেই। তবে বর্তমান প্রজন্মের দুটি মত রয়েছে। এক মতে, দেবী দুর্গা স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন প্রতিমা গড়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মন্দিরের দরজা খোলা যাবে না।
আরও পড়ুন-ইসরোর সহায়তায় আসছে ‘টু ওয়ে কমিউনিকেশন’ ডিভাইস, মাঝসমুদ্রে ট্রলারডুবি রুখতে নতুন প্রযুক্তি
কিন্তু ধৈর্য না রাখতে পেরে মন্দিরের দরজা খোলা হলে দেখা যায় দেবীর শুধু মস্তকই রয়েছে আর কিছু নেই। তবে অন্য অংশের মতে মাটির তৈরি মন্দির ছিল। সে মন্দিরে দেবীপ্রতিমা তৈরি সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। পুজো দিন কয়েক বাকি। সেই সময় প্রবল বর্ষণে মন্দির ভেঙে যায় এবং দেবীর মস্তকটি শুধু রক্ষা পায়। কীভাবে পুজো হবে এবং পুজো না করলে অমঙ্গলের আশঙ্কায় গোটা পরিবার চিন্তায় পড়ে যান। দেবী পরিবারের কর্তাকে স্বপ্নাদেশ দেন মস্তকপুজো করতে এবং এভাবেই তিনি পুজো নেবেন।
আরও পড়ুন-খানাকুলের মিত্রবাড়ির পুজোর আকর্ষণ অকাল রথযাত্রা
সেই থেকেই ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে মণ্ডল, দত্ত এবং দে পরিবারের পাতি মার পুজো। দত্ত পরিবারের উৎপল দত্ত জানান, রানিসায়ের থেকে নবপত্রিকা নিয়ে আসা হয় এবং চারদিন ধরেই পুজো চলে ধুমধাম করে। তবে পাতি মার নিরঞ্জন রাতে হয় না। দশমীর দিন নবপত্রিকা নিরঞ্জনের সময়ই দেবীর মস্তকটিরও নিরঞ্জন দেওয়া হয়। তবে একইভাবে মস্তক পুজো হয় দেবশালা পঞ্চায়েতের বাসিন্দা বক্সি পরিবারের এবং ওই একই পঞ্চায়েতের পুরশাতেও হয় এরকম শুধুমাত্র মস্তকপুজো।