নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : আতঙ্কিত জোশীমঠের (Joshimath) বাসিন্দারা। ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এলাকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের জন্য এখনও পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার কোনও ব্যবস্থাই করেনি। ফাটল ধরা বাড়িগুলি নতুন করে নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি সরকার। কিন্তু ছয় মাসেও সরকার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধ্য হচ্ছেন ফাটল ধরা ভাঙা বাড়িতে বাস করতে।
এরই মধ্যে আগামী কয়েকদিন রাজ্যে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যেই এই পাহাড়ি রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় ধস নেমেছে। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। স্বাভাবিকভাবেই বৃষ্টি শুরু হতেই জোশীমঠের (Joshimath) বিস্তীর্ণ এলাকায় নতুন করে ফাটলের আতঙ্কে ভুগছেন মানুষ। শুধু তাই নয়, ৬ মাস কেটে হলেও এখনও পর্যন্ত জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সভাপতিত্বে গঠিত বিশেষজ্ঞ সংস্থাগুলির রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়নি। যার ফলে জোশীমঠের বাসিন্দারা এখনও জানতে পারেননি শহরের কোন এলাকাগুলি নিরাপদ, কোনটি নয়। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, জোশীমঠের জন্য এপর্যন্ত প্রয়োজনীয় কোনও ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। বরং ধসের কারণে সাময়িক বন্ধ থাকা হেলাং-মাড়োয়ারি বাইপাসের কাজ আবার শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে এনটিপিসির কাজও। তাই ধসের আশঙ্কা আরও বাড়ছে। অথচ পুনর্বাসনের বিষয়ে এখনও কিছু বলেনি বিজেপি সরকার। মাসের পর মাস ত্রাণ শিবিরে কাটানোর পরও কোনও আশ্বাস না মেলায় বর্ষায় মারাত্মক বিপর্যয়ের মধ্যেই নিজেদের ভাঙা বাড়িতে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ত্রাণ শিবির ছাড়ার জন্য প্রবল চাপ দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। স্বাভাবিকভাবেই সরকারের উদাসীনতায় ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। হিমালয়ের পরিবেশ সুরক্ষা নিয়ে ২৫ বছর ধরে কাজ করা পরিবেশবিদ গোপালকৃষ্ণ জানিয়েছেন, ৪ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জোশীমঠে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যার একটাও এখনও পর্যন্ত পূরণ হয়নি। বরং পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে উঠেছে। কারণ ত্রাণ শিবিরগুলি একে একে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ তাঁদের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন। বৃষ্টিতে যে কোনও সময় বিপদ ঘটতে পারে। মনে হচ্ছে, রাজ্যের বিজেপি সরকার আরও বড় বিপর্যয়ের জন্য অপেক্ষা করছে।
আরও পড়ুন- জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড ভুল করলে সিবিআই, একই ঘটনায় ছাত্র প্রতারণা করলে মকুব!