প্রতিবেদন : সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতিতে বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়িতে পুরভোট করার মতো পরিকাঠামো আদৌ আছে কি না, রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই ৪ পুরসভার কোভিড পরিস্থিতি এখন ঠিক কেমন, আক্রান্তের সংখ্যা কত, কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা কোথায়, কত, কী ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য, তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।
আরও পড়ুন-গোটা গঙ্গাসাগরই নোটিফায়েড অথরিটি, হাইকোর্ট বাদ দিল শুভেন্দুকে
বিস্তারিত রিপোর্ট পেলেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার। ওই দিনই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, নির্বাচন পরে হলে সমস্যা নেই। কিন্তু কমিশনের আইনজীবী জিষ্ণু সাহার পাল্টা যুক্তি, ‘সরকার কোনও লকডাউন করেনি। তা হলে নির্বাচন বন্ধ হবে কেন?’ তাঁর বক্তব্য, ‘নতুন করে গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। মানুষের স্বাস্থ্য-সুরক্ষার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-হিডকোর ফের এমডি দেবাশিস সেন
রাজ্য যদি আরও গাইডলাইন তৈরি করতে বলে, আমাদের কোনও অসুবিধে নেই।’ লক্ষ্যণীয়, গত শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে কমিশনের পক্ষ থেকে সওয়াল করা হয়েছিল, ‘প্রাত্যহিক জীবন থেমে থাকে না। কমিশন শুধু বলতে পারে, ভোট হলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছিল, কমিশন চাইলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সবরকম সাহায্য করবে। বৃহস্পতিবার কমিশনের বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ হলে পরবর্তী পদক্ষেপের প্রতীক্ষা।