প্রতিবেদন : আমূল সংস্কারের পর সাধারণ মানুষের জন্য খুলে গেল কলকাতার ঐতিহাসিক টাউন হল। বৃহস্পতিবার নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা সেই টাউন হলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মাল্যদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি টাউন হল নতুন করে রাজ্যের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেন। মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন-জরুরি অবস্থা
২০১৬ সালে আইআইটি রুরকির বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে পূর্ত দফতর টাউন হল সংস্কারের কাজ শুরু করে। বাইরের কাঠামোতে পরিবর্তন না করে এই ভবনটিকে সম্পূর্ণ সংস্কার করা হয়েছে। সংস্কারের ক্ষেত্রে মূল ভবনের পূর্ব ও পশ্চিমের দেওয়ালের সঙ্গে একটি নতুন দেওয়াল তোলার পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণে দেওয়াল ও স্তম্ভগুলিকে সুরক্ষিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভূমিকম্পে ঐতিহাসিক এই ভবনের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তা-ও নিশ্চিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে নতুন করে সাজানো হয়েছে টাউন হলের সংগ্রহশালা। নয়া এই সংগ্রহশালা সমৃদ্ধ করতে ঐতিহাসিক নথিগুলিকে ডিজিটাল মাধ্যমে ধরে রাখা হবে। এজন্য সাহায্য নেওয়া হয়েছে খড়্গপুর আইআইটির বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন-ভারতের ৮৯% শিশুই পর্যাপ্ত খাবার পায় না
নয়া এই সংগ্রহশালায় যেমন রয়েছে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের কিছু ঐতিহাসিক নথি, একই ভাবে বাংলার একাধিক আন্দোলনের ঐতিহাসিক নথিও এখানে থাকছে। ২০২০ সালে সংস্কারের কাজ শেষ হলেও করোনার কারণে উদ্বোধন অনুষ্ঠান আটকে ছিল। বাস্তুকার মেজর জেনারেল জন গার্স্টিন রোমান ডোরিকের স্থাপত্যে ১৮১৩ সালে এই ঐতিহাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। অনেক ইতিহাসের সাক্ষী এই ঐতিহাসিক ভবন। বছর ছয়েক আগে ছাদের চাঙড় খসে পড়ায় এই ঐতিহাসিক ভবনের সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা।