সংবাদদাতা, বসিরহাট : ক্যাবিনেট মিটিংয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসিরহাটকে পূর্ণাঙ্গ জেলা ঘোষণা করায় বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভাসল বসিরহাট। ফলে প্রান্তিক মানুষের হয়রানি ঘুচতে চলেছে অচিরেই। আইনশৃঙ্খলা, সার্বিক উন্নয়ন, নতুন কর্মসংস্থানের আশায় বুক বাঁধছেন সীমান্ত শহর বসিরহাটের মানুষ। এতদিন মহকুমার তকমা লাগানো এলাকা জেলা হওয়ায় আগামী দিনে একাধিক মহকুমা গড়ে উঠবে বসিরহাটে। সেক্ষেত্রে সুন্দরবন এলাকার প্রান্তিক মানুষদের জরুরি কাজ সারতে নদী পেরিয়ে সব সময় জেলা সদরে আসতে হবে না। মহকুমা সদরেই মিটে যাবে কাজ। পাশাপাশি জেলার সদর শহর হওয়ায় জীবনযাত্রার মান বাড়বে।
আরও পড়ুন-পেটুয়াঘাট ও শঙ্করপুর মৎস্যবন্দর পরিদর্শন
চালু হবে একাধিক রুটের বাস। অনেক দফতর হওয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় মানুষ। ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেই বসিরহাটকে আলাদা জেলা করার প্রস্তাব নিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। অবশেষে প্রত্যাশাপূরণ হল। উত্তর ২৪ পরগনার একটা বড় অংশ জুড়ে থাকা বসিরহাট মহকুমার আয়তন ১৭৭৭.০২ বর্গ কিমি। প্রায় ৩৩ লক্ষ জনবসতিপূর্ণ মহকুমায় রয়েছে ৩ পুরসভা, ১০ ব্লক-সহ ৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ১১টি থানা। একদিকে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ব্লক বাদুড়িয়া, স্বরূপনগর ও বসিরহাট ১।
আরও পড়ুন-শব্দদূষণ রোধে কড়া পুলিশ, আদায় জরিমানা
অন্যদিকে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবন। সন্দেশখালি ১ ও ২, মিনাখাঁ, হাড়োয়া, হাসনাবাদ ও হিঙ্গলগঞ্জের মতো প্রত্যন্ত সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকা থেকে সদর বসিরহাটে আসতে কালঘাম ছুটে যায় নাগরিকদের। জেলার কাজ থাকলে প্রায় ১০০-১৫০ কিমি পাড়ি দিতে হয় জেলা সদর বারাসত পৌঁছতে। সুন্দরবনের মানুষকে একাধিক নদী পেরিয়ে আসতে হয়। ইতিমধ্যে উন্নততর পরিষেবার জন্য বসিরহাটকে আলাদা স্বাস্থ্য ও পুলিশ জেলা করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকেই নতুন জেলার স্বপ্নে বিভোর হন বসিরহাটের মানুষ।