প্রতিবেদন : সিপিএমের প্রবল অন্যায়-অত্যাচারে-অনাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাংলার মানুষের জন্য নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরিবর্তন চেয়েছিলেন একদল শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীরা। ২০১১ সালে বাংলার অগ্নিকন্যার হাত ধরে পরিবর্তন এসেছে। গত বারো বছরে আমূল বদলে গিয়েছে বাংলা। রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়তে না পেরে বাংলার সম্পর্কে বদনাম ও কুৎসা করছে বিজেপি। তার সঙ্গে গলা মিলিয়েছে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ।
আরও পড়ুন-যমুনাতে জালে ডলফিন, রান্না করে খাওয়ায় মৎস্যজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ
এর বিরুদ্ধে আবারও গর্জে উঠলেন পরিবর্তনকামী বুদ্ধিজীবীরা। বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে একযোগে তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও বিকল্প নেই। বাংলা ও দেশের শত্রু বিজেপি। তাই বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়া যাবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাতেই নারীরা সুরক্ষিত। তাঁরা আজ রাত-বিরেতে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরতে পারেন। কাজে যেতে পারেন। কাজ করতে পারেন। তাই ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনে এ-রাজ্য থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকেই সব থেকে বেশি আসনে জেতাতে হবে। সময়ের ডাকেই আরও বেশি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে দাঁড়ানো দরকার। বক্তব্য শিল্পী কবির সুমনের।
আরও পড়ুন-ঝাড়খণ্ডের পাকুড় গণধর্ষিতা তরুণী
তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও তিন হাজার বছর বাঁচুন এবং থাকুন। কাজ করতে গেলে কিছু ভুল হয়। যারা কাজ করে না, তাদের কোনও ভুলও হয় না। যাঁরা বলছেন, এই পরিবর্তন চাইনি, তাঁদের কাছে আমার প্রশ্ন, ঠিক কোন পরিবর্তন চেয়েছিলেন আপনারা? পঞ্চায়েত নির্বাচনে নাকি অনেক অশান্তি হয়েছে বলছেন। হওয়াটা কাম্য নয়। কিন্তু এর আগে কবে হয়নি বলুন তো? নাট্যব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষ বলেন, আমরা মাত্র দশ শতাংশ মানুষ শহরে থাকি। বাকি নব্বই শতাংশ মানুষ থাকেন গ্রামে। তারাই আসলে বাংলার প্রাণ। গ্রামবাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, বিধবাভাতা, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী-সহ যেসব সামাজিক প্রকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছেন তার নজির গোটা দেশে নেই। রাজনীতিবিদ পূর্ণেন্দু বসুর বক্তব্য, প্রধান শত্রু বিজেপি। তার বিরুদ্ধেই আমাদের সার্বিক লড়াই।
আরও পড়ুন-দেবেগৌড়ার ‘একলা চলো’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ দোলা সেন-সহ শিল্পী যোগেন চৌধুরী, সাহিত্যিক আবুল বাশার-সহ ডাঃ শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত, অভিনেত্রী অনামিকা সাহা, অর্থনীতিবিদ দীপঙ্কর দাশগুপ্ত, কবি প্রসূন ভৌমিক প্রমুখ। সকলে একযোগে জানিয়ে দেন, বাংলাকে শান্ত রাখতে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরই ভরসা রাখেন এবং ভবিষ্যতেও রাখবেন।