প্রতিবেদন : ফের একবার বাংলাকে অনুকরণ করল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দেখানো পথে হেঁটে এবার বিজেপি-শাসিত অসমেও পুজোয় অনুদান চালু করল। পুজোয় ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়া নিয়ে এ রাজ্যে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী সমালোচনায় মুখর হয়েছিল। এবার পরিস্থিতি ও প্রয়োজনীয়তা বুঝে বিজেপি-শাসিত অসমের মুখ্যমন্ত্রীও বাংলার পথেই।
প্রমাণিত হল, বাংলা আজ যা ভাবে, দেশ তা কাল ভাবে। আসলে এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে বাংলার দুর্গাপুজো নিয়ে কুৎসা, মিথ্যাচার এবার বুমেরাং হল বিজেপির জন্য। একসময় যে বিজেপি বলেছিল বাংলায় পুজো করতে দেওয়া হয় না, এখন সেই কলকাতাতেই দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে আসতে হচ্ছে অমিত শাহকে। শুধু তা-ই নয়, পুজো কমিটিগুলিকে সাহায্য করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বেশ কয়েক বছর ধরে অনুদান চালু করেছেন। তা নিয়েও বিস্তর জলঘোলা শুধু নয়, আদালত পর্যন্ত ছুটে ছিলেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই হাঁটতে হচ্ছে হিমন্ত বিশ্বশর্মার অসম সরকারকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মডেলকে নকল করে এবার বিজেপি-শাসিত অসমে দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন সে-রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ৬৯৫৩টি পুজো কমিটিকে এই টাকা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- মানুষ যার সঙ্গে থাকে, তাকে কে হারাবে
এখানেই শেষ নয়, আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি, পাঁচ দিন, পাঁচ রাত নির্দিষ্ট একটি করে গ্রামে থাকবেন রাজ্যের অসমের মন্ত্রীরা। একুশের নির্বাচনের আগেই তৃণমূল নেতৃত্ব মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের কথা শুনেছেন। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মাটির দাওয়ায় বসে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বসে খেয়েছেন। সেই মডেল নকল করেই এখন অসমের মানুষের মন জয় করার চেষ্টায় বিজেপি। ২০১১-এ বাংলায় ক্ষমতায় আসার পরের বছর থেকেই বাংলার দুর্গাপুজোকে আরও বড় আঙ্গিকে করার বিষয়ে জোর দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য আর্থিক অনুদান ঘোষণা করেন। এরপর পুজো উদ্যোক্তাদের জন্যও অনুদান ঘোষণা করেন। কোভিডকালে তা বাড়ানো হয়। এ বছর দেওয়া হয়েছে ৭০ হাজার টাকা করে। তা নিয়ে রে-রে করেছিল বিজেপি-সহ বিরোধীরা। কিন্তু ধর্মের কল বাতাসে নড়ে! এবার বিজেপি-শাসিত রাজ্যেই সেই অনুদান চালু হল।
হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে তীব্র আক্রমণ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বাংলার সমস্ত প্রকল্পের অনুকরণ করে ওরা। ফের ‘মমতা মডেল’-এর নকল হল। তাই বিজেপির উচিত নাকখত দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চাওয়া।