প্রতিবেদন : অকাট্য যুক্তি দিয়ে রাজ্যে নারী নির্যাতন নিয়ে বিরোধীদের কার্যত ধুয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার একের পর এক যুক্তি দিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় বিরোধীদের জবাব দিলেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যুক্তি ১ – রাজ্যপাল সৌজন্যের সমস্ত সীমা অতিক্রম করে প্রকাশ্যে ঝগড়া করছেন। রাজ্য যখন কাজের দৌড়ে দেশের মধ্যে সেরার শিরোপা পায় তখন তো উনি অভিনন্দন জানান না৷ গুজরাত, উত্তরপ্রদেশে কী ঘটছে তিনি দেখতে পান না। বাংলায় হিংসার ঘটনা অন্য রাজ্যের তুলনায় অনেক কম। যুক্তি ২ – রাজ্যপাল হাইকোর্টের ঘটনা নিয়ে তথ্য বিকৃতি করছেন। ‘অমিতাভ লালা বাংলা ছেড়ে পালা’ কারা বলেছিল? সিপিএম। আজ এরা সাধু সাজছে। হুমকি পোস্টারও বাদ যায়নি। রাজ্যপাল খোঁজ নিন কোনও কোনও মামলায় যখন বিচারক খুন হন, সেটা কোন রাজ্যে? যুক্তি ৩ – যে কোনও ধর্ষণই নিন্দনীয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেস নিন্দা করেছেন। এটা সামাজিক অপরাধ। পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। বাম আমলে সিঙ্গুরে তাপসী মালিক, অনিতা দেওয়ান, মনে পড়ে না? যুক্তি ৪ – মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) মহিলা না পুরুষ এটা অপরাধের ক্ষেত্রে বিচার্য নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জ্যোতি বসুর মতো ‘এরকম তো কতই হয়’ বলেন না। নন্দীগ্রামে একের পর এক খুন-ধর্ষণ হয়েছে। ব্যক্তিগত ঘটনা নিয়ে যে সব নেতারা কুৎসা করছেন, মনে রাখবেন তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলা ঘটিত ও রহস্যমৃত্যুর মামলা আছে৷ বিরোধীদের মধ্যে এমন একজন নেতা আছেন তাঁর মেয়ের রহস্যমৃত্যু হয়েছিল৷ তখন সিবিআই হয়নি কেন? একটি দলের দিল্লির নেতার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ আছে। বেহালার দিকে থানায় কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আছে, দেখা হোক। যুক্তি ৫ – কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে বিক্ষোভ হয়েছিল। এক তরুণী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল, আজ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। কোন আমলের ঘটনা? কার বাড়ি থেকে কে ঝাঁপ দেবে তার বেলা সিবিআই হবে না। আর অভিযোগের পর মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) পুলিশ পাঠিয়ে গ্রেফতার করেছেন আর তাঁর বিরুদ্ধে এসব কুৎসা, মোটেও বরদাস্ত করা হবে না। বাংলা ভাল আছে। আমরা চাই না একটা ঘটনাও ঘটুক৷