সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায়: বেসরকারীকরণের পথে আরও এক ধাপ এগোল রেল। এবার টিকিট কাউন্টারে টিকিট বিক্রির দায়িত্বও বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিতে শুরু করল রেল কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে বাসের কনডাক্টরদের ঢঙে ছাপানো টিকিট হাতে লোকাল ট্রেনের টিকিট দেবেন বেসরকারি এজেন্সির লোকজনরা।
আরও পড়ুন-পার্থেনিয়াম নির্মূলকরণে নামল এনসিসি, এনএসএস ক্যাডেটরা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মানুষের সুবিধার জন্য বিভিন্ন স্টেশনে সংরক্ষিত ট্রেনের টিকিট কাউন্টার চালু করেছিলেন। এখন রেল কর্তৃপক্ষ সেই সমস্ত টিকিট কাউন্টারগুলিও লোকাল ট্রেনের টিকিট বিক্রির জন্য বেসরকারি এজেন্সির হাতে তুলে দিচ্ছে। এমনিতে রেলে বহু পদ খালি পড়ে রয়েছে। সেখানে কর্মী নিয়োগ না করে বেসরকারীকরণের পথে হাঁটতে চলেছে রেল। ইতিমধ্যেই মেট্রোরেলের অনেক স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণ বেসরকারি সংস্থার হাতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার শহর ও শহরতলির ট্রেনের টিকিট বিক্রির দায়িত্বও ধাপে ধাপে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যাপারে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন প্যাসেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্টেশন পরিচালনা থেকে টিকিট বিক্রি সবেতেই বেসরকারীকরণ করা হচ্ছে। রেল কর্মী নিয়োগ বন্ধ ওই সমস্ত কাজ বাইরের এজেন্সিকে দিয়ে করিয়ে নিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন শহরতলির স্টেশনে মানুষের সুবিধার জন্য টিকিটের রিজার্ভশেন কাউন্টার খুলেছিলেন। কিন্তু এখন রেল কর্তৃপক্ষ সেগুলি বন্ধ করে দিয়ে সেখানে বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে লোকাল ট্রেনের টিকিট বিক্রি করাচ্ছে। এতে রেলের ঐতিহ্য নষ্ট হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’
আরও পড়ুন-শিশু বেচতে নাম ভাঁড়িয়ে হাসপাতালে
যদিও রেলের দাবি, ছোট ছোট যেসব স্টেশনে টিকিট বিক্রি খুব কম হয় সেগুলিই শুধু বেসরকারি সংস্থাকে টিকিট বিক্রির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনিতেই সংরক্ষিত ট্রেনের টিকিট বিক্রি কাউন্টার থেকে অনেক কমে গেছে। মোবাইলে ই-টিকিট বেশি কেটে নেওয়ায়। তাই যেসব কাউন্টারে খুব কম টিকিট বিক্রি হয় সেখানেই কেবলমাত্র বেসরকারি এজেন্সিকে টিকিট বিক্রির দায়িত্বভার দেওয়া হচ্ছে।