কাউন্সিলর খুনে পরপর গ্রেফতার মূল চক্রীরা, ঝালদা-তদন্ত শেষ পর্যায়ে

Must read

সংবাদদাতা, পুরুলিয়া: একের পর এক মূল পাণ্ডাকে গ্রেফতার করে ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের কিনারা প্রায় করেই ফেলেছে পুরুলিয়া (Purulia) জেলা পুলিশ। তদন্ত একেবারে শেষ পর্যায়ে। দু-এক দিনের আসল ঘটনা প্রকাশ্যে চলে আসবে। বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের বোকারো থানার জুরিডি থেকে সুপারি কিলার কলেবর সিং গ্রেফতার হওয়ার পরই এক একটি পরত খুলতে থাকে ঘটনার। শুক্রবারই অভিযুক্তকে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিট। তারপর রাতেই আটক করা হয় ঘটনায় আগেই ধৃত দীপক কান্দুর বাবা নরেন কান্দুকে। ধরা হয় ঝালদা থানার কুটিডি গ্রামের বাসিন্দা আসিফ খান নামে এক ব্যক্তিকে। শনিবার পুরুলিয়া (Purulia) জেলা পুলিশের অতিথি আবাস ক্ষণিকায় তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে টানা জেরা করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন এদিন বলেন, ‘আমরা তদন্তের শেষ পর্যায়ে। ঝালদায় কাউন্সিলর খুনের ঘটনাটি পুরোপুরি পারিবারিক সঙ্ঘাতের পরিণাম। তিন-চার বছর আগে থেকে ভাইকে খুন করার চেষ্টা করছিলেন অভিযুক্ত দাদা নরেন কান্দু।’

আরও পড়ুন – স্থগিত জেলা আদালত আন্দোলন

পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, যে তিনজন মোটরবাইক আরোহী কাউন্সিলর খুনে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত, তারা তিনজনই ভিন রাজ্যের। কলেবর সিংয়ের মামারবাড়ি এই এলাকায় এবং দীর্ঘদিন সে ঝালদায় ছিল। সেদিন খুনের ঘটনার পর তিন আততায়ী কুটিডি গ্রামে আসিফ খানের বাড়িতে রাত্রিবাস করে পালিয়ে যায়। তাদের খুনের জন্য সুপারি দেওয়া হয়েছিল।

এই খুনের ঘটনার পিছনে রাজনীতির কোনও ভূমিকা নেই। পারিবারিক বা ব্যক্তিগত শত্রুতা থেকেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিমত পুলিশের একাংশের। যদিও এখনও বিষয়টি খোলসা করেননি পুলিশ সুপার। আজ, রবিবার বিকেল চারটেয় পুলিশ সুপার তাঁর দপ্তরে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলছি, তদন্ত হোক। খুনের রাজনীতি তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) করে না। খুনিরা শাস্তি পাক, এটাই চাইছে দল।

Latest article