নয়াদিল্লি : কলেজিয়াম ব্যবস্থার বিরুদ্ধাচারণ করতে গিয়ে এর আগে একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। কিন্তু তারপরেও তিনি নিজের অবস্থানে অনড়। বিচারব্যবস্থায় সরকারের অনুগতদের নিয়োগে মোদি সরকারের আগ্রহের কারণ সব মহলেরই বোধগম্য হচ্ছে। তাই কলেজিয়াম প্রথাকে দুষেই চলেছেন মোদির মন্ত্রীরা।
আরও পড়ুন-আলোচনায় বাধা
বিপুল সংখ্যক বিচারাধীন মামলা নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় কিরেন রিজিজু ফের কলেজিয়াম ব্যবস্থার মাধ্যমে বিচারপতিদের নিয়োগ পদ্ধতির কড়া সমালোচনা করেন।
এদিন রাজ্যসভায় রিজিজু বলেন, সারা দেশে পাঁচ কোটিরও বেশি মামলা ঝুলে আছে। এটা খুবই উদ্বেগের। মামলা ঝুলে থাকার মূল কারণ বিচারপতিদের শূন্যপদ। বিচারাধীন মামলার সংখ্যা কমাতে সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু বিচারপতিদের শূন্যপদ পূরণে সরকারের ভূমিকা খুবই সীমিত। কলেজিয়ামই নাম বেছে নেয়। সরকার শুধু কলেজিয়ামের বেছে দেওয়া নামে সম্মতি দেয়।
আরও পড়ুন-পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি, মন্ত্রীর জবাবে ক্ষুব্ধ বিরোধীদের সভাত্যাগ
বিচারপতি নিয়োগের কোনও অধিকার সরকারের নেই। সরকার সর্বদাই দেশের প্রধান বিচারপতি এবং হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের কাছে এমন নাম পাঠানোর কথা বলে যা গুণমান এবং দেশের বৈচিত্রকে প্রতিফলিত করে। মহিলাদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে। কিন্তু বর্তমান কলেজিয়াম ব্যবস্থা সংসদ বা জনগণের অনুভূতিকে প্রতিফলিত করছে না। সেই কারণেই সরকার কলেজিয়ামের বেছে দেওয়া নাম অনেক সময় অনুমোদন করেনি। কিন্তু সংবিধানের সারমর্ম বলে যে, বিচারপতি নিয়োগ করা সরকারের অধিকার।