সংবাদদাতা, দিঘা : নিম্নচাপ। তার দোসর পূর্ণিমা। দুয়ের ধাক্কায় দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলভাগে উত্তাল সমুদ্র। ভারী বর্ষার মধ্যেই বুধবার রামনগর ১ ব্লকের শঙ্করপুর ও তাজপুর এলাকার সমুদ্রবাঁধ সরেজমিনে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। রামনগর-১ ব্লকের শঙ্করপুর থেকে তাজপুর বিস্তৃত বঙ্গোপসাগর উপকূল কিছুটা নিচু এলাকা। যশ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কায় ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল এখানকার ৩.৮ কিমি সমুদ্রবাঁধের।
আরও পড়ুন-শুভেন্দুর গুজরাতের ব্যাঙ্কে টাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল
বাঁধ উপচে জল ঢুকে গিয়েছিল লোকালয়ে ও চাষের জমিতে। বর্তমানে পাকা সমুদ্রবাঁধ নির্মাণ চলছে। কাজ চলাকালীনই নিম্নচাপ ও কোটালের প্রভাবে শুরু হয়েছে প্রবল বর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাস। শুক্র ও শনিবার ভরা কোটালের আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে। সব ব্লকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। উপকূলে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। এদিন বাঁধনির্মাণের কাজ সরেজমিনে দেখেন সেচমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক তথা মন্ত্রী অখিল গিরি, সেচ বিভাগের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, চিফ ইঞ্জিনিয়ার, রামনগর ১ ও ২ ব্লকের বিডিও।
আরও পড়ুন-দেশবাসীকে রাখিবন্ধনের শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেকের
পরিদর্শন শেষে চাঁদপুরে সমুদ্রবাঁধ বরাবর নিকাশি নালা, স্লোপিং তৈরি-সহ তাজপুর বিশ্ববাংলা উদ্যান থেকে জলধা সেতু পর্যন্ত পাথর ফেলার পরিকল্পনার কথা জানান মন্ত্রী। দুপুরে দিঘার সেচ বাংলোতে বিভাগীয় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। বৈঠকের পর সেচমন্ত্রী জানান, ‘‘তাজপুর-চাঁদপুর এলাকায় সমুদ্রের জল গ্রামে ঢুকেছে। বেশ কিছু জায়গায় সমুদ্রবাঁধ মেরামত দরকার। ১২ ও ১৩ তারিখ ভরা কোটাল। সতর্ক থাকতে হবে।’’