মানস দাস, মালদহ : মেঘলা দিনের সকাল। ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে কাজের উদ্দেশে কয়েকজন হেঁটে যাচ্ছেন রাস্তা দিয়ে। রিকশার হর্ন শুনে থামলেন তাঁরা। শুধু থামলেনই না। অবাক দৃষ্টিতে থমকে গেলেন। আশপাশের বাড়ি থেকেও বেরিয়ে এলেন বাসিন্দারা। কারণ রিকশা চালাচ্ছেন স্বয়ং বিধায়ক! শুধু তাই নয়, এলাকার মানুষকে দিচ্ছেন সচেতনতার বার্তা। জিজ্ঞেস করছেন তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা। আর শীতার্তদের হাতে তুলে দিচ্ছেন কম্বল। মালদহের চাঁচলে শনিবার দেখা গেল এমনই চিত্র। বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ (Nihar Ranjan Ghosh)। এলাকার মানুষের কাছে অভিভাবক তিনি।
আরও পড়ুন – দ্রুত বদলে যাচ্ছে হাওড়ার সংযুক্ত এলাকা
রাত, দুপুর কিংবা কনকনে শীতের ভোর, মানুষের প্রয়োজনে সবসময় হাজির তিনি। এলাকার উন্নয়ন থেকে সমাজসেবামূলক কাজ। নজির বিধায়কের। এলাকাবাসীরা নির্দ্বিধায় তাঁদের কথা জানাতে হাজির হতে পারেন বিধায়কের কাছে। রিকশাচালক থেকে সবজি বিক্রেতা এমনকী স্টেশনের পাশে থাকা দুঃস্থ মানুষদের কাছেও তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ (Nihar Ranjan Ghosh) যেন সমস্ত সমস্যার সমাধান। কনকনে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচাতে বিধায়ক পুরোহিত, ইমামদের কম্বল বিতরণের পাশাপাশি রিকশাচালকদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন। নতুন কম্বল পেয়ে প্রায় ৫০ জন রিকশাচালকের মুখে ফুটেছে হাসি। ডেকে তাঁদের হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন।
হঠাৎ রিকশা চালিয়ে এলাকা ঘুরলেন কেন? বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের জবাব, ‘‘যেতে-আসতে স্টেশনের পাশে রিকশাচালকদের সঙ্গেও আমি কথা বলি। ওঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জিজ্ঞেস করি। শীতবস্ত্র বিতরণের পর ওঁদেরই একজনের কাছ থেকে রিকশা চেয়ে নিই। খুশি হয়ে আমাকে দিয়ে দেন। তাই ভাবলাম একটু অন্যরকমভাবে এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা করে আসি। তাঁরাও অবাক হলেন।”