প্রতিবেদন : গত সপ্তাহে রাজস্থানে চাহিদামতো পণ দিতে না পারায় একই পরিবারের তিন বধূ ও তাঁদের দুই সন্তানকে খুন করে কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এবার মহারাষ্ট্রে একটি কুয়ো থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার ছয় শিশুর দেহ। তবে ওই মহিলা প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে, স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের নিয়মিত অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল ওই মহিলার জীবন।
আরও পড়ুন-অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হবে দেশে, জানিয়ে দিল মৌসম ভবন
অশান্তির হাত থেকে বাঁচতেই আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নির্যাতিতা। তাই নিজের ছয় সন্তানকে ফেলে দিয়েছিলেন কুয়োয়। তারপর নিজেও কুয়োয় ঝাঁপ দেন। কিছুক্ষণ হাবুডুবু খাওয়ার পর হঠাৎই ওই মহিলার বাঁচার আর্তি জাগে। তাই সন্তানদের ফেলেই ওই মহিলা কোনওরকমে উপরে উঠে আসেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্র রায়গড় জেলার মাহার তালুকের খারাভালি গ্রামে। তবে মহিলা প্রাণে বেঁচে গেলেও তাঁর এক শিশুপুত্র এবং পাঁচ শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শিশুদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সবচেয়ে ছোট শিশুটির বয়স দেড় বছর। বড়টির বয়স ১০ বছরের মধ্যে।
আরও পড়ুন-সরব সুদীপ
কুয়োয় ফেলে সন্তানদের হত্যা করার অভিযোগে রুনা চুখুরি সাহানি নামে বছর তিরিশের ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশকে রুনা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী মদ্যপ মানুষ। প্রতিদিনই মদ খেয়ে এসে তাঁকে এবং তাঁর শিশুদের বেধড়ক মারধর করত। স্বামীর সঙ্গে যোগ দিত শ্বশুরবাড়ির অন্যরাও। এই অশান্তি থেকে বাঁচতেই তিনি সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। অভিযুক্ত মহিলা আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে তাঁরা মহারাষ্ট্রে এসেছিলেন।