সংবাদদাতা, তারাপীঠ : কৌশিকী অমাবস্যায় তারামায়ের স্নানের জন্য আসছে দক্ষিণেশ্বর থেকে গঙ্গার জল। পায়ে হেঁটে ১০-১২ জনের একটি দল সেখান থেকে গঙ্গা জল নিয়ে তারাপীঠ রওনা দিয়েছে। রীতি মেনে শুক্রবার ভোরে মায়ের স্নান হবে সেই জলে। শুক্রবার বেলা এগারোটায় ভোগের জন্য মন্দির বন্ধ হবে। তার পর লাগছে অমাবস্যা। চলবে শনিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন-মুখোশ খুলুন, নিরপেক্ষ হোন
শুক্রবার ভোগের পর পাঁচটা পর্যন্ত পুজো চলবে। রাত বারোটায় মাকে বিশেষ সাজে সাজিয়ে শুরু হবে অমাবস্যার নিশিপুজো। সেই সময় মায়ের আদি শিলামূর্তি বের করে ভোর তিনটা পর্যন্ত চলবে পুজো। শুক্রবার ভক্তরা ভোগ পেলেও শনিবার কোনও ভোগ-ভাণ্ডারার ব্যবস্থা থাকছে না। কথিত, মহিষাসুর বধের পর শুম্ভ-নিশুম্ভের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দেবতারা মহামায়ার তপস্যা করেন। সন্তুষ্ট হয়ে দেবী নিজ কোশ থেকে উজ্জ্বল জ্যোতি বিচ্ছুরিত করে পরমাসুন্দরী দেবীমূর্তিতে আবির্ভূত হন। তাই তিনি কৌশিকী। তিনিই আবার তারা ও কালীতে রূপান্তরিত হন। আরও কথিত, এদিনই সাধক বামাক্ষ্যাপা সিদ্ধিলাভ করেন। ফলে এদিন পুজো দিলে এবং দ্বারকানদে স্নান করলে পুণ্যলাভ এবং কুম্ভস্নান করা হয়। তাই মানুষ তারাপীঠে ছুটে আসেন।