প্রতিবেদন : পানীয় জলের সংকট (Water Crisis) প্রতিরোধের অত্যন্ত বাস্তবসম্মত পথ পানীয় জলের অপচয় রোধ। আর এই ওয়াটার লস ম্যানেজমেন্টেই বিশেষ সাফল্যের মুখ দেখল কলকাতা পুরসভা। জলের মিটার লাগিয়ে অপচয়ের পরিমাণ ৫০ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে। এবার দক্ষিণ কলকাতাতেও মিটার লাগানোর কাজ শুরু করছে পুরসভা। উদ্দেশ্য শুধু জলের অপচয় বন্ধ নয়, জলের চাপ কোথায় কোথায় কম, কোথায় প্রয়োজনের তুলনায় কম বা বেশি জল পৌঁছচ্ছে তা সবই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে এই মিটারের সাহায্যে। গোটা মহানগরীতে জল সরবরাহ লাইনে মিটার লাগানোর কাজ শেষ হলে জল অপচয় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে পুরকর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ফলে মহানগরীতে পানীয় জলের সংকট তো থাকবেই না, বরং উদ্বৃত্ত হবে। গ্রীষ্মের মুখে যা নিঃসন্দেহে এক আশার আলো।
আরও পড়ুন: করোনা রুখতে কেন্দ্র ও রাজ্য বৈঠক
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগেই প্রথম দফায় পানীয় জলের (Water Crisis) পাইপলাইনে মিটার বসানোর কাজ শেষ হয়েছে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার, বেলগাছিয়া, সিঁথি,কাশীপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। এরপর ১ থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডকে নিয়ে তৈরি হয় বিশেষ জোন। বসানো হয় প্রায় ১৯ হাজার মিটার। লক্ষণীয়, টালা থেকে দৈনিক গড়ে প্রায় ১৬ থেকে ১৮ মিলিয়ন গ্যালন জল সরবরাহ করা হয় শ্যামবাজারের একাংশ, কাশীপুর, বেলগাছিয়া, সিঁথি এবং চিড়িয়া মোড় এলাকায়। নতুন বসানো মিটারের উপর ধারাবাহিকভাবে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয় একটি সংস্থার বিশেষজ্ঞদের। দেখা যায় অপচয়ের অঙ্ক প্রায় ৫০ শতাংশ। এবার ধাপে ধাপে জলের প্রবাহে নিয়ন্ত্রণ আনেন ইঞ্জিনিয়াররা। পুরনো পাইপলাইনের ফাটল মেরামত করে অপচয়ের পরিমাণ ২ মিলিয়ন গ্যালনে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়। বিশেষজ্ঞদের পরের লক্ষ্য, দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়া, যাদবপুর, পাটুলি ও বৈষ্ণবঘাটা-সহ ১১ এবং ১২ নম্বর বরো। মিটার বসানোর কাজ শেষ হলেই শুরু হবে নজরদারি।