প্রতিবেদন : মাদক মামলায় ইচ্ছাকৃতভাবেই শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খানের নাম জড়ানোর চেষ্টা করেছিল নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি। তারকাপুত্রকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা হয় বলে জানিয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)৷ তাদের মতে, আরিয়ান-সহ আরও ১৯ জনকে গ্রেফতার করলেও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ কোনও প্রমাণই ছিল না এনসিবির কাছে। সঠিকভাবে তদন্ত না করেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন-নামে নৈতিক, কাজে অনৈতিক
সিটের এই চাঞ্চল্যকর দাবির পরেই প্রশ্ন উঠছে, কোন মহলের নির্দেশে বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারকে মাদক মামলায় জড়ানোর চেষ্টা? শুক্রবার মাদক মামলায় এনসিবির তরফে আরিয়ানকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়। এরপরই এনসিবির তদন্ত নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন ওঠে। আরিয়ান-সহ যে ৬ জনকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন সমীর সেহগাল, ভাস্কর অরোরা, অভিন সাহু, গোপালজি আনন্দ ও মানব সিংঘল। সিটের পাশাপাশি এনসিবির ডিরেক্টর জেনারেল এস এন প্রধান ইঙ্গিত দিয়েছেন, শাহরুখের ছেলেকে যে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, তদন্ত প্রক্রিয়ায় একাধিক অসঙ্গতির সূত্রে তা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে৷ আরিয়ানের গ্রেফতারের পর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়নি।
আরও পড়ুন-বিতর্কিত আইন লাগুর প্রস্তুতি
জেরার ভিডিওগ্রাফিও হয়নি। যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখা হয়েছিল সেটাও বৈধ নয়। এ ঘটনার জেরে আরিয়ানের বিরুদ্ধে তদন্তের দায়িত্বে থাকা এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের সমস্যা আরও বাড়তে চলেছে৷ এনসিবি সূত্রের খবর, এত বড় মাপের গাফিলতির দায়ে সমীরের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ এদিকে আরিয়ান-কাণ্ডের পর মাদককাণ্ডে এনসিবির হাতে গ্রেফতার হওয়া অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর মামলার পুনর্তদন্তের দাবি উঠল৷