সংবাদদাতা, বহরমপুর : ফল সংরক্ষণের জন্য মুর্শিদাবাদে উপযুক্ত জমি খুঁজে বের করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার বহরমপুরের প্রশাসনিক বৈঠকে এই বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু ফল সংরক্ষণই নয়, প্রক্রিয়াকরণের প্রয়োজনীয়তাও ব্যাখ্যা করেন তিনি। লক্ষণীয়, গোটা মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়েই লিচুর চাষ এবং ফলন বেড়ে গেছে গত কয়েক বছরে। শুধু লিচু নয়, আমের ব্যাপক ফলনও সমৃদ্ধির পথ দেখাচ্ছে জেলার অর্থনীতিকে।
আরও পড়ুন-মুর্শিদাবাদে জোর কর্মসংস্থানে
বিদেশে রফতানির সম্ভাবনাও ঊজ্বল হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এই কারণেই চাইছেন আম এবং লিচুর বিজ্ঞানসম্মত সংরক্ষণ। যাতে কোনওভাবেই নষ্ট না হয় বাণিজ্যিক সম্ভাবনাময় এই সুস্বাদু ফল দু’টি। পাশাপাশি ফল প্রক্রিয়াকরণের বিষয়টিও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ স্থানীয় অর্থনীতির বিচারে। এই শিল্প একদিকে যেমন প্রসারিত করতে পারে কর্মসংস্থানের পথ, তেমনই খুলে দিতে পারে বিদেশি মুদ্রা আয়ের পথও।
আরও পড়ুন-মন্ত্রীর উদ্যোগে শিশুর হার্ট অপারেশন
মুখ্যমন্ত্রী তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংরক্ষণাগার নির্মাণের উপযোগী জমি খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন জেলাশাসক এবং প্রশাসনিক কর্তাদের। আম এবং লিচুর পাশাপাশি পেঁয়াজ চাষের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাচ্ছে মুর্শিদাবাদ। তাই এই বিষয়টাও যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। এখন পেঁয়াজের বড় অংশই আমদানি করতে হয় অন্যরাজ্য থেকে। জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহণ খরচও বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ছে পেঁয়াজেরও। কিন্তু পেঁয়াজ উৎপাদনে রাজ্য স্বনির্ভর হয়ে উঠলে সুলভে মিলবে তা। সেই পথই দেখাচ্ছে মুর্শিদাবাদ।