সংবাদদাতা, কাটোয়া : প্রথম এশীয় মহিলা হিসেবে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মলোকাই চ্যানেল জিতে মঙ্গলবার কালনা ফেরেন সায়নী দাস। বারুইপাড়ায় বাড়িতে বসে ‘সোনার সাঁতারু’ সায়নী জানান, ‘পরের লক্ষ্য নিউজিল্যান্ডের কুক স্ট্রেইট চ্যানেল জয়।’ তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে ফুল-মিষ্টি নিয়ে তাঁদের বাড়ি গিয়ে অভিনন্দন জানান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
আরও পড়ুন-উন্নত স্বাস্থ্য-পরিষেবা দিতে আগ্রহী বিধায়ক
তিনি বলেন, ‘সায়নী ইতিহাসের পাতায় নাম তুলে গোটা পৃথিবীর সামনে কালনা তথা ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছে।’ সায়নীর বাবা তথা প্রশিক্ষক রাধেশ্যাম দাস বলেন, ‘কুক স্ট্রেইট চ্যানেল পেরোনোর জন্য ২০১৯ সালেই কর্তৃপক্ষকে আবেদন করা আছে। ডিসেম্বরে দিনক্ষণ চূড়ান্তর চেষ্টা করা হবে।’ সপ্তসিন্ধু জয়ের ক্ষেত্রে সায়নীর ‘আদর্শ’ মহারাষ্ট্রের সফল সাঁতারু রোহন মোরে। রোহনই এশিয়া মহাদেশের প্রথম সাঁতারু হিসেবে সাতসাগর জয় করেছেন। সায়নীর কথায়, ‘ওঁকে আদর্শ মেনে পরপর চ্যানেল পার হচ্ছি।’ ওয়ার্ল্ড ওয়াটার সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন বিশ্বের যে ৭ চ্যানেলকে ‘সপ্তসিন্ধু’র স্বীকৃতি দিয়েছে তার মধ্যে মলোকাই দীর্ঘতম। এশিয়া মহাদেশের প্রথম সাঁতারু হিসেবে ১৯ ঘণ্টা ১০ মিনিটে ৪৬ কিমি দীর্ঘ সেই চ্যানেল জয় করেন সায়নী। সপ্তসিন্ধু জয়ের শিরোপা পেতে এখনও ৪টি চ্যানেল জয় করতে হবে।