নয়াদিল্লি : দেশে কর্মসংস্থানের হাল ভয়াবহ। স্থায়ী চাকরি বাড়ন্ত। ভরসা চুক্তিভিত্তিক কাজেই। এমনকী সেনার মতো স্পর্শকাতর ক্ষেত্রেও মাত্র চার বছরের চু্ক্তিভিত্তিক প্রকল্প চালু। নীতি আয়োগের সাম্প্রতিক রিপোর্টেও দেশের এই অবস্থার প্রতিফলন ঘটেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে চুক্তিভিত্তিক কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে আগামী সাত-আট বছরে প্রায় আড়াই কোটির কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে চুক্তিভিত্তিক কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীর সংখ্যা ৭৭ লক্ষ। নীতি আয়োগের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৯-’৩০ অর্থবর্ষে সেই সংখ্যাটাই পৌঁছাবে ২ কোটি ৩৫ লক্ষে।
আরও পড়ুন-লিঙ্গ সমতায় পিছিয়ে ভারত, বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে ১৩৫ নম্বরে
রিপোর্টে নীতি আয়োগ আরও উল্লেখ করেছে, এই সমস্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ৪৭ শতাংশ মোটামুটি দক্ষ কর্মী, ২২ শতাংশ সবচেয়ে দক্ষ এবং ৩১ শতাংশ কম দক্ষ। এই পরিসংখ্যান মাথায় রেখে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিক সুপারিশ করেছে নীতি আয়োগ। নীতি আয়োগের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কর্মীদের জন্য সুবিধা এবং সামাজিক সুরক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা প্রয়োজন। নীতি আয়োগের বক্তব্য, অন্যথায় তাঁরা কাজের জায়গায় সুরক্ষা-সহ বিভিন্ন সুবিধা থেকে তাঁরা বঞ্চিত হবেন। নীতি আয়োগের রিপোর্টে বলা হয়েছে, চুক্তিভিত্তিক কর্মী বা গিগ ওয়ার্কার্সরা ভারতের কৃষিক্ষেত্রের বাইরে ২.৬ শতাংশ এবং দেশের মোট কর্মক্ষেত্রের ১.৫ শতাংশ। রিপোর্টে উল্লেখ, ২০২৯-’৩০ সালের মধ্যে এই চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের হার দাঁড়াবে কৃষিক্ষেত্রের বাইরে ৬.৭ শতাংশ এবং মোট কর্মসংস্থানের ৪.১ শতাংশ।