প্রতিবেদন : বর্ধমান জেলার কালনার কাছে ছাড়িগঙ্গা পাখিপ্রেমীদের কাছে পছন্দের জায়গা। প্রতি বছর এখানে প্রচুর পরিযায়ী পাখি আসে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, এবার শীতে ছাড়িগঙ্গায় পরিযায়ী পাখি এসেছে অনেক কম। তার একটা বড় কারণ কচুরিপানা। গত বছর পাঁচ হাজারের বেশি পাখির দেখা মিলেছিল। রবিবার সকাল থেকে পাখিগণনা শুরু করেন কাটোয়া রেঞ্জের দুই বনকর্মী সৌম্য ঘোষ ও রাজেন চন্দ।
আরও পড়ুন-মৎস্যজীবীদের সমুদ্রসাথীর সুবিধা দিতে ৪২ খটিতে আইএনটিটিইউসি-র কর্মসূচি
ছিলেন কালনা শহরের পক্ষিবিশেষজ্ঞ নব্যেন্দু পাল, কালনার উপ-পুরপ্রধান তপন পোড়েল। দুপুর পর্যন্ত কাজ চলে। জলাশয় ও তার আশপাশে ৪৭টি প্রজাতির ৩০২৪টি দেশি-বিদেশি পরিযায়ী পাখির দেখা মিলেছে বলে ওঁরা জানিয়েছেন। তবে পাখির সংখ্যা অনেক কমেছে। পাখিরা জলাশয়ে মনের মতো পরিবেশ পাচ্ছে না। জলাশয়ের বেশিরভাগ ঢেকে গিয়েছে কচুরিপানায়। জলাশয়ের গা ঘেঁষে শুরু হয়েছে ধানচাষও। পাখিরা যাতে শস্য খেতে না পারে তাই জাল দিয়ে ঘিরে রেখেছেন চাষিরা। তাতে আটকে পড়ছে পাখিরা। কীটনাশক এবং রসায়নিক সারের ব্যবহারও পাখিদের জন্য নিরাপদ নয়। কচুরিপানা ঠেলে ছোট নৌকা নিয়ে মাছ ধরছেন কেউ কেউ। তাতেও ভয়ে পাখির দল উড়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-উরস উৎসবে গেদেতে এল বাংলাদেশের বিশেষ ট্রেন
নব্যেন্দু জানালেন, এবার বৃষ্টি কম হয়েছে বলে কচুরিপানা বেরোতে পারেনি। তাই পাখিরা অবাধে চরে বেড়াতে পারছে না। পাখি ফেরাতে জল থেকে কচুরিপানা তুলতে হবে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, কালনা শহরে প্রচুর পর্যটক আসেন। ছাড়িগঙ্গা ঘিরে পাখিরালয় গড়ে উঠলে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। উপ-পুরপ্রধান জানিয়েছেন, মহকুমাশাসককে পুরো ব্যাপারটা জানানো হয়েছে। দুর্গাপুজোর আগেই কচুরিপানা তোলার চেষ্টা হবে।