প্রতিবেদন : মোহনবাগানের নবনিযুক্ত সহসভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) আইএসএলে ক্লাবের নামের আগে থেকে ‘এটিকে’ শব্দ সরানোর দাবি তুললেন। তাঁকে সমর্থন করেন ক্লাবের নতুন সচিব দেবাশিস দত্ত। তিনি জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে এটিকে মোহনবাগানের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে কথা বলবে নতুন কমিটি।
সহসভাপতি নিযুক্ত হওয়ার পর এদিনই প্রথম ময়দানে ক্লাব তাঁবুতে আসেন কুণাল। সেখানে একটি বৈঠক হয়। সচিব দেবাশিস ছাড়াও ছিলেন ফুটবল সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কর্মসমিতির অন্য সদস্যরা। মোহনবাগানপ্রেমী কুণালকে সবুজ-মেরুন উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান সচিব ও ফুটবল সচিব। সমর্থকদের আবেগকে গুরুত্ব দিয়ে তাঁদের ‘রিমুভ এটিকে মুভমেন্ট’-কে সমর্থন করছেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘‘আজকের দিনে ক্লাবের উন্নয়নে অবশ্যই লগ্নি দরকার। বিনিয়োগকারী দরকার। সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে ধন্যবাদ যে তিনি ক্লাবের ফুটবলের উন্নয়নে এগিয়ে এসেছেন। উনি বাংলার লোক। বাংলার ক্রীড়া, সংস্কৃতিতে তাঁর অবদান যথেষ্ট। মিস্টার গোয়েঙ্কাকে নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। তিনি থাকুন, তাঁর সংস্থা থাকুক। কিন্তু মোহনবাগান সমর্থকদের আবেগ বলছে, এটিকে একটা ফুটবল ক্লাব। শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের নামের আগে কেন অন্য একটা ক্লাবের নাম থাকবে? তাই সমর্থকদের আবেগকে পূর্ণ সম্মান দিয়ে এটিকে-জট কাটানোর উদ্যোগ নেওয়া হোক। দুই ক্লাবের সংযুক্তিকরণের সময় কী চুক্তি হয়েছিল আমরা জানি না। আমি চাই নতুন কমিটি এই ব্যাপারে আলোচনা শুরু করুক।” কুণালের বক্তব্যকে মান্যতা দিয়ে দেবাশিস জানিয়ে দেন, এটা একটা সমস্যা। নতুন কমিটি অবশ্যই বিষয়টি যথাযথ স্থানে উপস্থাপিত করে আলোচনার দরজা খোলার চেষ্টা করবে।
আরও পড়ুন – এএফসি-র প্রস্তুতি শুরু করলেন ফেরান্দো
এদিন মোহনবাগান ক্লাবে রাজনীতির প্রসঙ্গও ওঠে। এক সাংবাদিকের প্রশ্ন, বিরোধীরা অভিযোগ করছেন, রাজ্যের শাসক দলের নেতারা ক্লাবে ভিড় করছেন। যার পাল্টা জবাব দিয়েছেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘‘এখানে মোহনবাগানে সোমেশ্বর বাগুই রয়েছেন। তিনি কংগ্রেসের লোক। অঞ্জন মিত্রর মেয়ে সোহিনী আজ আমাদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে ছিলেন। উনি তো অন্য একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। এখানে মোহনবাগানপ্রেম আগে।” সমালোচকদের উদ্দেশে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে কুণাল (Kunal Ghosh) আরও বলেন, ‘‘কৈলাস বিজয়বর্গী যখন দুই প্রধানকে ডেকে বললেন, আমরা আইএসএলে খেলার সব ব্যবস্থা করে দেব, তখন তো আমরা বলতে যাইনি সমস্যা সমাধানের জন্য বিজেপির কাছে যাওয়া যাবে না! কৈলাসবাবু সস্তার প্রচার নিয়ে চলে গিয়েছেন। কিচ্ছু করেননি। ক্লাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে। যাঁরা ঘরে বসে বড় বড় কথা বলছেন, তাঁরা মনোনয়ন জমা দেননি কেন? মোহনবাগান ক্লাব সবার জন্য। যাঁরা ১২ মাস মোহনবাগান করেন তাঁরা তো আছেনই, এখানে সব দলের সবাই রয়েছে।”