আদালতের জটিলতা কাটিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই শুরু হবে উচ্চপ্রাথমিকে নিয়োগ। শুক্রবার এমনই সদর্থক ইঙ্গিত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ইতিমধ্যেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ শুরু করেছে শিক্ষা দফতর। আদালতের নির্দেশে ৯৫৩৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে উচ্চপ্রাথমিকে সমস্ত প্রক্রিয়া মিটে গেলেও কিছু আইনি জটে আটকে রয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এরমধ্যেই বদল হয়েছে বেঞ্চ। তবে জট কাটিয়ে খুব শীঘ্রই হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এই প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, সব জট কাটিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতিতে আমরা প্রাথমিকে নিয়োগ শুরু করতে পেরেছি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে আমি রিপোর্ট পেয়েছি আদালতে জট খোলার মুখে। আমি আশাবাদী খুব শীঘ্রই নিয়োগ দিতে পারব। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় শেষের মুখে শীঘ্রই শুরু হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন- মা-বোনেদের হাত শক্ত করার বাজেট
অপরদিকে, স্বচ্ছতা ও গোপনীয়তা বজায় রাখতে নম্বর জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইন পোর্টাল চালু করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। পুরনো পদ্ধতিতে শিক্ষকদের খাতা দেখার পর সেই নম্বর সংসদের কাছে পৌঁছতে বেশ কিছু ভুলত্রুটি হয়েই যেত কারণ সম্পূর্ণটাই ম্যানুয়ালি করতে হত। সেই ভুল এড়াতে এবং কাজে আরও গতি আনতে শুরু হল এই পোর্টাল। নতুন পদ্ধতিতে, পরীক্ষকরা বাড়িতে বসেই অনলাইনে নম্বর জমা দিতে পারবেন। এজন্য তাঁদের সংসদের ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। পরীক্ষার্থীদের নাম ও রোল নম্বর পর্যন্ত সেখানে বসানো থাকবে। শুধু সেখানে পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর লিখতে হবে প্রধান পরীক্ষককে। কোনও ভুল তথ্য দিলে তা এডিট করার সুযোগ থাকবে। এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রযুক্তির প্রসারে শিক্ষাকে হাতিয়ার করছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এর ফলে গোপনীয়তা বজায় থাকবে, স্বচ্ছতা থাকবে। এটা একটা যুগান্তকারী পরিবর্তন অন্য রাজ্য এই ব্যবস্থাকে অনুসরণ করবে।