গঙ্গাসাগর : মকর সংক্রান্তির আগেই এবারের সাগরমেলায় (Gangasagar Mela) রেকর্ড ভিড়। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ৩১ লক্ষ পুণ্যার্থী মেলায় চলে এসেছে। বাবুঘাট, হাওড়া, লট নম্বর আট, কচুবেড়িয়ার পথে হাজার হাজার পুণ্যার্থী। শনিবার সকালে ভিড় আরও বাড়বে। শনিবার বিকেল থেকে এবারের মকর সংক্রান্তির শাহিস্নানের যোগ শুরু হবে। চলবে পরদিন, রবিবার বিকেল পর্যন্ত। এবারের ভিড় ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান পুলিশের। গত দু’বছর করোনা অতিমারির জন্য আদালতের নির্দেশে ভিড়ের ওপর রাশ টানতে হয়েছিল। কিন্তু এবার কোনও বিধি-নিষেধ না থাকায় ভিড় বেড়েছে কয়েকগুণ। এছাড়া বাবুঘাট থেকে সাগর পর্যন্ত যাত্রাপথ আগের থেকে অনেক মসৃণ করা হয়েছে। পরিকাঠামো বাড়ানো হয়েছে কয়েকগুণ। এবার যাত্রীনিবাস, পানীয় জল, অস্থায়ী শৌচাগারের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে কয়েকগুণ। শুক্রবার মেলায় চলে এসেছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, বঙ্কিম হাজারা। এদিন মেলা অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করে অরূপ জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে মেলার (Gangasagar Mela) প্রস্তুতি ঘুরে দেখে গিয়েছেন। সেইসময় মুখ্যমন্ত্রী কিছু নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইমত মকরস্নানের সময় সাগরতটে ৩৩টি হাইমাস লাইট লাগানো হয়েছে। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় ১৪ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় অনেক বেশি। যথেষ্ট পরিমাণ ব্যারিকেড, ড্রপগেট, ওয়াচটাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। সিভিল ডিফেন্স, এনডিআরএফ, নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী প্রচুর নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে। এবার মেলার মাঠে বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি, ওড়িয়ার পাশাপাশি ভোজপুরী ভাষায় ঘোষণা করা হচ্ছে। পুণ্যার্থীদের করণীয় বিষয়ে বিভিন্ন ভাষায় লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। প্রতিটি যানবাহনকে জিপিএসের আওতায় আনা হয়েছে। এবার ড্রেজিং ভাল হওয়ায় মুড়িগঙ্গা নদীতে ২২ ঘণ্টা ভেসেল চালানো সম্ভব হচ্ছে। মেলা মাঠে ১০ থেকে ১২ লক্ষ পুণ্যার্থীর রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবারেও অনলাইনে পুজো দেওয়া ও প্রসাদ পাওয়ার ব্যবস্থা ছিল। এদিন পর্যন্ত ই-দর্শন করেছেন ৪০ লক্ষ ৭০ হাজার। ই-স্নান করেছেন এক হাজার একশো চৌত্রিশ জন। ই-পুজো দিয়েছেন ১০ লক্ষ ৫০ হাজার। এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে হেলিকপ্টারে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধের কারণে ২৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১২ জন নিখোঁজকে খুঁজে দেওয়া হয়েছে।