প্রতিবেদন : বাংলায় যে বিজেপির করুণ অবস্থা তা প্রতি পদক্ষেপেই বোঝা যাচ্ছে। প্রার্থীদের ফোন করে করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) যে নতুন চিত্রনাট্য তৈরি করছেন, তাতে বিজেপির মিথ্যাচারের রাজনীতি যেমন প্রকাশ্যে এসেছে। একইসঙ্গে বাংলায় যে বিজেপির ভরাডুবি হতে চলেছে তার আগাম আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এই কারণে প্রচার চলাকালীন মহুয়ার বাড়িতে তল্লাশির পর দিল্লিতে ডেকে পাঠাল ইডি। আসলে মহুয়া সংসদে থাকাকালীন বিজেপির দুর্নীতির পর্দাগুলো ফাঁস করছিলেন। তাই তাঁকে চক্রান্ত করে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরও সেই চক্রান্ত অব্যাহত। তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্ট জানিয়েছে তারা মহুয়ার পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে।
আরও পড়ুন- কলকাতা বিমানবন্দরে মুখোমুখি ধাক্কা দুই বিমানের!
প্রধানমন্ত্রী এদিন কৃষ্ণনগরে বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন। আর সেই প্রসঙ্গেই বলেছেন, বাংলা থেকে ইডির তল্লাশিতে পাওয়া ৩ হাজার কোটি টাকা বাংলার মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) নতুন ভাঁওতা। ২০১৪ সালে ভোটের সময় যেভাবে ১৫ লক্ষ টাকা অ্যাকাউন্টে দেওয়ার কথা বলেছিলেন, বছরে ২ কোটি চাকরির কথা বলেছিলেন, এটাও তেমনি নতুন ভাঁওতা। কেন ভাঁওতা? তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্ট ভাষায় বলছে, যদি টাকা দেওয়ার থাকে, বাংলার জন্য যদি এতটাই প্রধানমন্ত্রীর উজাড় করা ভালবাসা, তাহলে ভোটের মুখে কেন করতে হচ্ছে? এটা শুধু ভাঁওতা নয় ভোটে বিধিভঙ্গ। তৃণমূল কংগ্রেস এর বিরুদ্ধেও কমিশনে যাবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী বলছেন নতুন করে আইন আনবেন। প্রশ্ন হচ্ছে, এতদিন আনেননি কেন? যে আইন বর্তমানে রয়েছে তার মধ্যে থেকে পথ খুঁজে বের করেননি কেন? ভোটের মুখে কেন বলতে হচ্ছে? এর বাইরে আর একটি বড় প্রশ্ন হচ্ছে, টাকা ফেরত দেব বললেই কি টাকা ফেরত দেওয়া যায়! মামলাগুলি কোর্টে চলছে। প্রত্যেকটি বিচারাধীন মামলা। সেই মামলার ফয়সালা না হলে টাকা দেওয়ার অধিকার আদালতেরও নেই। প্রধানমন্ত্রী বললেন কোন যুক্তিতে? তার থেকেও বড় কথা হল, বাংলার মানুষের জন্য যদি এতই ভাবনা, তাহলে পাওনা ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি দিন। এই টাকা কেন ৩ বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে? অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্য থেকে ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়ে গিয়েছে কেন্দ্র। তারপরেও এই বঞ্চনা চলছে।
প্রধানমন্ত্রীর গোটা বক্তব্যটাই যে শুধু মিথ্যাচার তাই নয়, পুরোটাই ভোটের আগে ১৫ লক্ষ টাকা অ্যাকাউন্টে দেওয়ার মতো আর একটি নতুন ভাঁওতা। তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্ট বলছে, মহুয়াকে ভয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি কৃষ্ণনগর থেকে জিতেছেন এবং জিতবেন।