প্রতিদিন রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। হিসেবে বলে সাধারণ মানুষ ক্রমশ ওষুধ নির্ভর হয়ে পড়ছে। রোজের ওষুধের ব্যবহার গত কয়েক বছরে অনেকাংশেই বেড়ে গিয়েছে। কিছুদিন আগেই বেড়েছিল বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের দাম। এবার আবার মধ্যবিত্তের পকেটে টান। আগামী ১ এপ্রিল থেকেই দাম বাড়ছে বেশ কিছু নিয়মিত ব্যবহার করার মত ওষুধের। জানা যাচ্ছে, পেইনকিলার, অ্যান্টিবায়োটিক ও প্যারাসিটামল সহ কমপক্ষে ৮০০ ওষুধের দাম এপ্রিল মাস থেকে বাড়ছে। দাম বাড়তে পারে হার্টের ওষুধেরও। প্রতিবছরই ওষুধের পাইকারি মূল্য সূচক (WPI) ঠিক করে জাতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (NPPA)।
আরও পড়ুন-কলকাতার আকাশে বিপদে এড়াল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান
২০২২ এবং ২০২৩ সালেও বেশ কিছু গুরুত্ত্বপূর্ণ ওষুধের দাম ১০ থেকে ১২ শতাংশ বাড়ানো হয়। কেন্দ্রীয় সরকার ওষুধের দাম বৃদ্ধির পিছনে মুদ্রাস্ফীতি একটি কারণ বলে থাকে। এবার বলা হয়েছে, বার্ষিক মূল্য সূচক পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কোম্পানিগুলিকে ওষুধের দাম বাড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ডায়াবিটিস, ব্লাডপ্রেশারের ওষুধ সহ ৬৯টি ওষুধের দামের ঊর্ধ্বসীমা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইজিং অথরিটি এই মর্মে জানিয়েছে, এই ধরনের ওষুধগুলির দামের ঊর্ধ্বসীমা ৮ টাকা ৯২ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ২৫ পয়সা পর্যন্ত রাখা হয়েছে। তবে এই সময় ওষুধের দাম বৃদ্ধি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কতটা প্রভাব ফেলবে সেই নিয়ে আলোচনায় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।