কোর্টের নির্দেশে পর্ষদ অফিস চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি, পুলিশের অনুরোধ না রাখায় সরান হল ধরনাকারীদের

ন্যায্য আন্দোলনকে ভালবাসি

Must read

প্রতিবেদন : আমি আন্দোলনকারীদের ভালবাসি, যাঁরা ন্যায্য আন্দোলন করেন। কোর্টে মামলা চলছে। কোর্টের অর্ডারকে আমরা সম্মান দিচ্ছি। আমরা চাই একজনেরও চাকরি যেন না যায়। আমি তো চাই সকলের চাকরি থাকুক। উত্তরবঙ্গ সফর শেষে বৃহস্পতিবার শহরে টেট চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন নিয়ে এ কথাই বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন থেকে ২০১৪-র পাশাপাশি ২০১৭-র টেট প্রার্থীরাও (TET Candidate) চাকরির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। এরই মধ্যে পর্ষদের আর্জি মেনে আদালত পুলিশকে পর্ষদ অফিস চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের নির্দেশ পেয়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরে যাওয়ার অনুরোধ জানায়। কিন্তু সে দাবি না মানায় রাতে সরিয়ে দেওয়া হয় ধরনাকারীদের এরই মধ্যে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়ে দিয়েছেন, নিয়ম ভেঙে একজনকেও চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়।

এদিন শহরে ফিরে আন্দোলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি আন্দোলনকারীদের ভালবাসি। তারপরই তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে যা বলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এগুলো নিয়ে যা বলার ব্রাত্যকে বলো। কারণ, এটা তো আমি দেখি না, ওরা দেখে, ওরা ভাল বলতে পারবে। আমি এসব নিয়ে কোনও মন্তব্যেই যাব না। এটা নিয়ে যা বলার আমাদের সরকার থেকে ব্রাত্যকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে সরকার চায় না কারও চাকরি যাক, তা বারবার স্পষ্ট করেই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পর্ষদের সভাপতিও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ২০১৪, ২০১৭-র প্রার্থীদের (TET Candidate) ইন্টারভিউয়ে বসতেই হবে। গৌতম পাল বলেন, সেপ্টেম্বরের ২৯ তারিখ আমরা নোটিফিকেশন দিয়েছি। তার আগে যে কোনও তারিখে যদি টেট পাশ করে থাকেন, ট্রেনিং-ডিগ্রি থাকে তাঁরা একই নম্বর পাবেন। আগে-পরের কোনও ব্যাপার নেই। আপনারা সবাই বাড়ি যান। সুস্থ থাকুন। আন্দোলন করবেন না। নিয়ম ভেঙে কাউকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু যদি আপনারা না শোনেন তাহলে তো আমাকেও অনশনে বসতে হয়! ইতিমধ্যে টেট প্রার্থীদের মধ্যে বিভাজন দেখা দিয়েছে। ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের পাশাপাশি ২০১৭ সালে টেট উত্তীর্ণরাও বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলনে নেমেছেন। তবে আদালতের নির্দেশে পর্ষদের দফতরের সামনে থেকে পুলিশ তাঁদের বারবার সরে যাওয়ার অনুরোধ জানায়। কিন্তু অবস্থানকারীরা অনড় থাকায় পুলিশ তাদের রাতে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে এবং সংবাদমাধ্যে ‘বিপ্লবী’ সাজতে রাতে বিজেপি ও সিপিএম নেতাদের করুণাময়ীতে দেখা যায়। তৃণমূল বলেছে কোর্টের নির্দেশ মেনেই তারা পদক্ষেপ করছে।

আরও পড়ুন-বঙ্গভঙ্গের চক্রান্ত ফাঁস

Latest article