১৭ বছরেই ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিজ্ঞানীর স্বীকৃতি অপরূপের

তাঁর লেখা ‘প্রবলেমস ইন জেনারেল কেমিস্ট্রি’ এবং ‘মাস্টার আইসিএসই কেমিস্ট্রি সেমেস্টার ১ ও ২’ বই দুটি বিভিন্ন স্কুলে সহায়ক পাঠ্যপুস্তক হিসেবে গৃহীত হয়েছে।

Must read

অসীম চট্টোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিজ্ঞানীর স্বীকৃতি পেলেন দুর্গাপুরের অপরূপ রায়। গোপালমাঠ গ্রামের এই কিশোর রসায়ন শাস্ত্রে অসাধারণ ব্যুৎপত্তি অর্জন করায় তাঁকে আমেরিকার ‘নাসা’ এই স্বীকৃতি জানায়। দুর্গাপুরের সেন্ট পিটার্স স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়াকালীনই ওই শ্রেণির রসায়ন বিষয়ক পাঠ্যবই লিখে ফেলেন।

আরও পড়ুন-১৫ অগাস্ট ২০২৪-এ বাংলার মেয়ে ভাষণ দেবেন লালকেল্লা থেকে: কুণাল ঘোষ

বর্তমানে ওই স্কুলেই একাদশ শ্রেণির ছাত্র অপরূপ। ইতিমধ্যেই তাঁর লেখা দুটি প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক স্তরে খ্যাতি অর্জন করেছে। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ’ এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইন কেমিক্যাল সায়েন্সেস’ নামে দুটি জার্নালে প্রকাশিত তাঁর গবেষণাপত্র দুটি আন্তর্জাতিক স্তরের বিজ্ঞান সাধনার আঙিনায় তুমুল আলোড়ন ফেলেছে। তাঁর লেখা ‘প্রবলেমস ইন জেনারেল কেমিস্ট্রি’ এবং ‘মাস্টার আইসিএসই কেমিস্ট্রি সেমেস্টার ১ ও ২’ বই দুটি বিভিন্ন স্কুলে সহায়ক পাঠ্যপুস্তক হিসেবে গৃহীত হয়েছে।

আরও পড়ুন-বিরাট প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য মন্টি পানেসরের

প্লাস্টিককে বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংশ্লেষণ করে তাকে বায়ো-প্লাস্টিকে রূপান্তরিত করার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন অপরূপ। নতুন এই গবেষণার জন্য ‘বাইজুস ব্লগ’ থেকে তাঁকে ‘সুপার স্টুডেন্ট’ আখ্যা দেওয়া হয়। অপরূপ ভারতের সর্বকনিষ্ঠ বিজ্ঞানী, যাঁর নাম কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাথামেটিক্যাল গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। গণিতের অত্যন্ত দুরূহ এবং জটিল কিছু সমস্যার সহজ সমাধান করার সাম্মানিক স্বীকৃতি স্বরূপ। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মিনি পিএইচডি প্রোগ্রামে’ গবেষণা করার আমন্ত্রণ পেয়েছেন বাংলা তথা ভারতের এই খুদে বিজ্ঞানী। নাসা পরিচালিত ‘ইও ড্যাসবোর্ড হ্যাকাথন’ নামে একটি গবেষণা প্রকল্পে সহকারী গবেষক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি বিজ্ঞান বিষয়ক প্রতিযোগিতায় বেশ কয়েকটি পদকও পেয়েছেন অপরূপ।

Latest article