আর্থিকা দত্ত,কার্শিয়াং: সকাল আটটা। মৃদু রোদ মাখা কার্শিয়াংয়ে ভোটের লাইনে তখন মিকা লামা, প্রমিলা রাই, ঋতু ছেত্রীরা। সকাল সকাল ভোট দিয়ে তাঁরা পাহাড়ের বাগানে ফোটাতে চান জোড়া ফুল। ভোটার কার্ড হাতে প্রমিলা বললেন, বিজেপি আমাদের কিচ্ছু দেয়নি। মোদি সরকার চা-বাগান-কে বঞ্চিত করেছে। আমরা নতুন ভোর দেখেছি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের প্রচারে জোরালো হাতিয়ার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও মহিলারা
প্রত্যেক মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাই। আমাদের ছোট্ট চায়ের দোকান আছে। মেয়ের লেখাপড়া, বিয়ে সবই দিতে পেরেছি সরকারি প্রকল্পের টাকায়। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। তাই পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখতে আর উন্নয়নের জন্য গোপাল লামাকেই কার্শিয়াং পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুস্পারানি মেমোরিয়াল স্কুলে ১৯৯ নং বুথেও চলছিল ভোট গ্রহণ। সেই ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ছোট বাচ্চা কোলে নিয়ে ভোট দিলেন এক সংখ্যালঘু মহিলা রাজিনা খাতুন। তিনি বলেন, প্রতিমাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছি শুধু মহিলারাই আমরা ভোট দিয়ে দিদিকেই জেতাবো। চাই। কার্শিয়াং শহরের রেল স্টেশন লাগোয়া ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের টাউন কমিউনিটি হলে এসি২৪/২০৭ নং বুথে ভোট দিয়ে হাসি মুখে বেরিয়ে আসছিল মানুষ। ভোট দিয়ে আসা মানুষের মুখে একটাই কথা, এবারের দার্জিলিং লোকসভা ভোটে জয়ী হবেন তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামা।