শান্তনু বেরা, কাঁথি: পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাচীন দুর্গাপুজোগুলির অন্যতম কাঁথি মহকুমার কিশোরনগর গড়ের রাজবাড়ির পুজো। আনুমানিক ৩৬০ বছর আগে প্রবর্তন করেছিলেন তৎকালীন ‘মাজনামুঠা পরগনার’ মহারাজা দানবীর যাদবরাম রায় (জন্ম ১৭০০ সাল)। শাক্তমতে প্রতিপদ থেকে দশমী দশদিনের পুজো চলে আসছে। ছোটখাটো মেলা বসে। পুজো ঘিরে অনেক কাহিনি।
আরও পড়ুন-বন্ধ স্কুল খুলতে এবার নতুন নীতি
নবাব আলিবর্দি খাঁর অধীন জমিদার ছিলেন যাদবরাম রায়। তিনি পাঁচ ব্রাহ্মণের মুন্ডু মাটির নিচে পুঁতে দেবীর বেদি তৈরি করেন। তার উপরেই প্রতিমার অধিষ্ঠান। সেই বেদি ভাঙা হয়নি। ঘটের মুখ থাকে পশ্চিমদিকে। সাধারণত যা দক্ষিণ পূর্বদিকে হওয়ার কথা। তারই নেপথ্যে একটা গল্প আছে।
স্বপ্নাদেশে পাওয়া তামার থালা এবং বড় খড়্গ আজও আছে। আগে পাঁচটি মোষ ও ৫১টি পাঁঠা বলি দেওয়া হত। ’৪৯ সালের ঝড়ের পর তা বন্ধ। তবে সযত্নে রাখা প্রায় চার ফুটের অড়গড়িটি, যাতে মোষবলি হত। গড়ের ঠাকুরের হোমের আগুন জ্বালানো হয় সূর্যরশ্মির তেজ থেকে আতশকাঁচের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন-ফের রাম-বামের বোঝাপড়া প্রমাণিত
রাজা যাদবরাম রায় ছিলেন দানশীল। দান না করে জলগ্রহণ করতেন না। এই আত্মত্যাগের জন্য মিরজাফর ‘দানবীর’ আখ্যা দেন। দানবীর রাজার পাথরের মূর্তি আজও অঙ্গনে শোভা পাচ্ছে। মহামায়া, কালী, রাধাকৃষ্ণের পাশাপাশি পূজিত হয় রাজা যাদবরাম রায়ের মূর্তি।